Editor Panel
- ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ / ৫ Time View
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় দেন। অন্য দুই বিচারক ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রায়ের দিনটি শেখ হাসিনার ৫৮তম বিবাহবার্ষিকী।
১৯৬৭ সালে শেখ মুজিবের কারাবন্দি অবস্থায় ফজিলাতুন নেছার তত্ত্বাবধানে শেখ হাসিনা বিয়ে করেন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়াকে। তাঁদের সংসারে দুটি সন্তান—সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।শেখ হাসিনা ১৯৯৬–২০০১, ২০০৯–২০১৪, ২০১৪–২০১৯, ২০১৯–২০২৪ এবং ২০২৪ সালে পঞ্চমবার প্রধানমন্ত্রী হন। তবে ছাত্র–জনতার উত্তাল আন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা ও দমন-পীড়নের অভিযোগ থেকেই গণঅভ্যুত্থানের সূত্রপাত।সরকার পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠিত হয় এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রথম মামলা হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আসামি করা হয়।
পাঁচটি অভিযোগ ছিল- উসকানিমূলক বক্তব্য, ছাত্র–জনতাকে নির্মূলের নির্দেশ, রংপুরে আবু সাঈদকে হত্যা,
ঢাকায় ছয় আন্দোলনকারীকে হত্যা ও আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যা।
দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড এবং একটি অভিযোগে আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক আইজিপি মামুনকে ৫ বছরের সাজা হয়।
রায় পাঠ শুরু হয় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে এবং শেষ হয় ২টা ৫০ মিনিটে।
অভিযোগ গঠন, তদন্ত, রাজসাক্ষ্য ও যুক্তিতর্কের সব প্রক্রিয়া শেষে রাষ্ট্রপক্ষ শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছিল। রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীরা তাদের খালাস চেয়েছিলেন।