মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি মুহাম্মদ ইউনূসের মাধ্যমেই হতে হবে: সারজিস জুলাই সনদ ও গণভোট ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎ চায় ৮ দল ১৩ নভেম্বর বাকশালপন্থীরা রাস্তায় নামলে মোকাবিলা করা হবে : মামুনুল হক সম্মিলিত ছাত্র সংসদের বিবৃতিতে দেশব্যাপী চিরুনি অভিযান পরিচালনার দাবি শাবিপ্রবির মেয়েদের হলে পানির ফিল্টার দিল শিবির নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ: প্রেস সচিব ১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ ঘিরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ফ্যাসিবাদী গুম-খুন ও লুটপাট নিয়ে ঢাকার ১০ পয়েন্টে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী বুধবার গণভোট না হলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন ২৯ সালে: আযাদ সংবিধানে রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির কোনো বিধান নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ

১৩ নভেম্বর বাকশালপন্থীরা রাস্তায় নামলে মোকাবিলা করা হবে : মামুনুল হক

আগামী ১৩ নভেম্বর কোনো বাকশালপন্থীকে বাংলার রাজপথে আমরা নামতে দেব না বলে ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক।

তিনি বলেছেন, যদি কেউ ওইদিন রাজপথে নামার অপচেষ্টা চালায়, আমরা তাদেরকে রাজপথে মোকাবিলা করবো ইনশাআল্লাহ।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) পল্টন মোড়ে সমমনা ৮ রাজনৈতিক দলের সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ জারি ও নভেম্বর মাসেই গণভোট আয়োজন, নির্বাচনে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মামুনুল হক বলেন, ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে দাঁড়িয়ে আমি স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগ ‘৭২ এর বাকশালপন্থী, আরেক ভাগ জুলাইয়ের বিপ্লব পন্থী’। আজ বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল এবং পক্ষের কাছে আমার সুস্পষ্ট জিজ্ঞাসা। সবাই যার যার অবস্থান পরিষ্কার করুন। হয় আপনি জুলাই বিপ্লবের পক্ষপাতী, আর না হয় আপনি ৭২-এর বাকশালপন্থী। ৭২ এর পরাজিত বাকশালপন্থীরা আগামী ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লকডাউনের নামে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব, সহস্রাধিক তাজা প্রাণের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত একটি অর্জন। এই বিপ্লবের নীতিভিত্তিক রূপরেখা ও বাংলাদেশ পরিচালনার জন্যই প্রস্তুত করা হয়েছে জুলাই সনদ; আমরা এটিকে কেবল কোনো কাগজপত্রের সনদ হিসেবে দেখছি না, বরং আগামীর বাংলাদেশের রূপরেখা হিসেবে গৃহীত হোক এটাই আমাদের দাবি। তাই দলের পক্ষ থেকে বলছি– অনতিবিলম্বে জুলাই সনদকে সরকারি আদেশের মাধ্যমে প্রাথমিক আইনি ভিত্তি দিতে হবে এবং আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে এটিকে চূড়ান্ত আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে। যদি এ পথে কোনো ব্যত্যয় ঘটে, তাহলে জুলাই বিপ্লবপন্থীরা সেটাকে বরদাশত করবে না; আমরা তা মেনে নেব না। আমরা স্পষ্ট ঘোষণা দিচ্ছি– আমাদের জুলাই যোদ্ধাদের, বিপ্লবের শাহাদাৎ বরণকারী বীর শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই সনদকে গণভোট ব্যতীত বাংলার মাটিতে বাস্তবায়িত হতে দেব না।

মামুনুল হক বলেন, আমি জানি না জাতীয় নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণভোট হলে কার কী সমস্যা, সেটা আমাদের বুঝে আসে না। আমাদের সমস্যা হল– জুলাই সনদের গণভোট ছাড়া যদি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি তফসিল ঘোষণা হয়ে বাস্তবায়িত হয়, অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে অনেকগুলো বড় বড় জটিলতা সৃষ্টি হবে। যারা জুলাই সনদের গণভোট জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিরোধিতা করছেন, আমরা তাদের সমস্যার কথা জানতে চাই। কোনো যুক্তি নাই। তারা জুলাই সনদের বাস্তবায়নকে ঠেকিয়ে দিয়ে বাংলাদেশে আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম করবার ষড়যন্ত্র করছে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, জুলাই বিপ্লবে একযোগে রাজপথে দাঁড়ানো আমার সব সহযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলছি– রাজনৈতিক মতভেদ ও নির্বাচন নিয়ে ভিন্নমত থাকা স্বাভাবিক। যে যার পছন্দে ভোট দেবেন, সেটাই আলাদা বিষয়। এখন প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি জোরালোভাবে কার্যকর করা। এজন্য আমরা হাতে হাত রেখে কাজ করব।

আগামী ১৩ তারিখে জুলাই সনদের গণভোটকে কেন্দ্র করে সরকারের সিদ্ধান্তের দিকে আমাদের নজর থাকবে। সরকার যদি জনগণের শান্তিপ্রিয় দাবি বোঝার অক্ষমতা দেখায়– আবারই বলছি, যদি তারা আট দলীয় নেতাদের শান্তিপ্রিয় ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হয়– আমরা সেই ভাষায়, যে ভাষায় সরকার বোঝে, তাতে আমাদের কর্মসূচি প্রয়োগ করবো। ইনশাল্লাহ, আমরা প্রস্তুত আছি বলেও জানান তিনি।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন– বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম (পীরসাহেব চরমোনাই), নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, খেলাফত মজলিসের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র প্রকৌশলী রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি অ্যাড. আনোয়ারুল হক চাঁন।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025