মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার বেনজীরের সম্পদের খোঁজে ৩ দেশের সহায়তা চাইলো দুদক প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ যেসব এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে বাসে আগুন যত ক্ষমতাধরই হোক উড়ে এসে জুড়ে বসা কাউকে মানবো না: অসীম বিএনপি-জামায়াত নৌকার ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছে: সারোয়ার তুষার ব্রিফিংয়ে ৮ দল পল্টনে মঙ্গলবার হাজার নয়, লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে ধানের শীষ আপনাদের পাশেই আছে, নৌকার সমর্থকদের মির্জা ফখরুল রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন তারেক রহমান উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন , সর্বোচ্চটুকু দিয়ে সরকার অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবে

বেনজীরের সম্পদের খোঁজে ৩ দেশের সহায়তা চাইলো দুদক

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের নামে থাকা বিদেশি সম্পদের তথ্য যাচাইয়ে পারস্পরিক আইনি সহায়তার আবেদন (এমএলআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের সাক্ষ্য-প্রমাণের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চার্জশিট

এদিকে, দুদকে দায়ের করা এক মামলায় বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ১১ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চার্জশিট অনুমোদন করেছে কমিশন। শিগগির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।

গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর দুদক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা দায়ের করে ।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দেখা যায়, কমিশনের নোটিশে সম্পদ বিবরণী দাখিলকালে বেনজীর আহমেদ ৬ কোটি ৪৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৫ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৬ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য জমা দেন। তবে তদন্তে তার নামে ৭ কোটি ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ৯৮৭ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৮ কোটি ১২ লাখ ৩১ হাজার ২৬৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ থাকার প্রমাণ মেলে। তিনি ১ কোটি ৮৫ লাখ ৩১ হাজার ৬২২ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ২ কোটি ৪০ লাখ ৪১ হাজার ২৯৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ গোপন করেছেন বলে দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে।

এছাড়া, অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস ও মালিকানা গোপনের উদ্দেশ্যে তিনি তার নাবালিকা কন্যা যাহরা যারীন বিনতে বেনজীরের নামে অর্জিত সম্পদ সম্পদ বিবরণীতে প্রদর্শন করেননি।

দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, বেনজীর আহমেদের নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে মোট ১৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। এর বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ মাত্র ৬ কোটি ৫৯ লাখ ৪২ হাজার ৬৬৮ টাকা। নির্ধারিত সময়ে তিনি ১ কোটি ৯৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৩ টাকা ব্যয় করেছেন। ফলে তার অবৈধ সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৬ টাকা।

দুদক জানায়, বেনজীর আহমেদ তার অপরাধলব্ধ অর্থের প্রকৃতি, উৎস ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করে তা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যৌথ মূলধনী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন। এ কার্যক্রম দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা, এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন।

বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর বেনজীরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025