সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর ব্যানারে চারটি সংগঠন একত্রে এ কর্মসূচি পরিচালনা করছে।
রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দিলেও পরে মধ্যরাতে শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের নেতা মু. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি দুইটাই চলবে। ’
অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড দেওয়ার প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে এখন তারা দশম গ্রেড চাইছেন, যা সরকারের পক্ষে কতটা বাস্তবসম্মত তা নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাই সরাসরি আলোচনা করবেন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষকরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কর্মবিরতি স্থগিত রাখবেন। এখন কথা দিয়ে কথা না রাখলে সেটা দুঃখজনক। আমরা আলোচনার পথ খোলা রেখেছি। ’
বার্ষিক ও বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে শঙ্কা
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৯টি। এসব বিদ্যালয়ে রয়েছেন ৩ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি শিক্ষক, যাদের অধিকাংশই সহকারী শিক্ষক। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ৯৬ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। শিক্ষকরা কর্মবিরতির ডাক দেওয়ায় এসব শিক্ষার্থীর ক্লাস বন্ধ রয়েছে।
আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি থাকতেই শিক্ষকদের এই কর্মবিরতি শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতির আশঙ্কা বাড়িয়েছে।
এ ছাড়া দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু কর্মবিরতির কারণে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ভাটা পড়ছে।