শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৩ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোর নতুন নেতৃত্ব এমনভাবে গড়ে উঠবে ও পরিচালিত হবে যাতে সমাজের স্লোগান ‘নতুন নেতৃত্ব, নতুন বাংলাদেশ’ আপনাদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়। আপনাদের নেতৃত্বের মাধ্যমে নতুন মানচিত্র পাওয়া যাবে—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
শুক্রবার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচিত প্রতিনিধি সংবর্ধনা-২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জামায়াত আমির।
তিনি বলেন অতীতের কলুষিত ছাত্ররাজনীতিতে দেখা গেছে, ছাত্রসংসদে নির্বাচিতদের মধ্যে অনেকেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে জড়িত থেকেও অসৎ উপায়ে রুজি করত। তাই বর্তমান ছাত্রসংসদগুলোতে সততার পরীক্ষায় শতভাগ উন্নীত দেখতে চান তিনি এবং এক ভাগ ফেলও এই জাতি দেখতে চায় না বলেও উল্লেখ করেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ছাত্রসংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব দলের প্রার্থীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের কাছে জাতির অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। আপনারা কেবল ক্যাম্পাসের কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবেন না; জাতির স্বপ্নসারথি হিসেবে সেই স্বপ্ন ধারণ করে বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীদের প্রতি জাতির একটি পাওনা রয়েছে এবং তিনি আশা করেন নেতারা সেই প্রতিদান দেবেন।
জামায়াত আমির আরও বলেন, তরুণরা কিভাবে আগামীর বাংলাদেশ গড়বে, তার রিহার্সেল হচ্ছে ছাত্রসংসদের মাধ্যমে। তিনি চান একটি তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ তৈরি হোক। তিনি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব একাডেমিক এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ছাত্রসংসদকে প্রথম অগ্রাধিকার হিসেবে কাজ করতে বলছেন এবং গবেষণা পুনরুজ্জীবিত করা ও শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার উপর জোর দেন।
ছাত্রসংসদ নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে ভবিষ্যতের বৃহৎ নেতৃত্বের জন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে। তোমাদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিতে চাই, দেশের ককপিটে তোমাদের বসাতে চাই—তিনি এমন প্রত্যাশা প্রকাশ করেন।
তিনি আশ্বাস দেন যে, পেছন থেকে দোয়ায় ও শক্তি জোগিয়ে জামায়াত তরুণদের সঙ্গে থাকবে; ভুল হলে কানে কানে সংশোধন করানো হবে, না মানলে সম্মানের সঙ্গে আসন থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথাও জানান।