Editor Panel
- ৭ নভেম্বর, ২০২৫ / ৭ Time View
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে খুব শিগগিরই আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে মধ্য এশিয়ার এক নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ তথ্য জানান।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, গাজার পরিস্থিতি খুব ভালোভাবে এগোচ্ছে। আমরা শিগগিরই সেখানে আন্তর্জাতিক বাহিনী দেখতে পাবো।গাজা ইস্যু নিয়ে এখন আর বেশি কিছু শুনা যাচ্ছে না। যদি হামাসের সঙ্গে কোনো জটিলতা দেখা দেয়, বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো ইতিমধ্যে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজা নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ দুই বছর মেয়াদি একটি অন্তবর্তীকালীন শাসন সংস্থা ও স্থিতিশীলতা বাহিনীর জন্য ম্যান্ডেট অনুমোদনের আলোচনায় বসতে যাচ্ছে। এমন সময়েই ট্রাম্পের এই মন্তব্য আসে।
আন্তর্জাতিক বাহিনীর দায়িত্ব থাকবে গাজার বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সীমান্ত এলাকাগুলোর নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং ফিলিস্তিনি পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়া। জানা গেছে, এই বাহিনীতে মিশর, কাতার, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সৈন্যরা অংশ নেবেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিশর, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্ক গাজা সংক্রান্ত যে খসড়া প্রস্তাব দেখেছে, তাতে প্রায় ২০ হাজার সৈন্যের একটি স্থিতিশীল বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই বাহিনীকে তার ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে—অর্থাৎ, প্রয়োজনে বল প্রয়োগেরও অধিকার থাকবে।
সূত্র : আল জাজিরা ও রয়টার্স।