বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২১ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মদুনাঘাট ব্রিজের কাছে ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে একটি দেশি তৈরি বন্দুক, একটি এলজি এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে, ব্যবসায়ীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। ঘটনার পরপরই চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও হাটহাজারী থানা যৌথভাবে তদন্ত শুরু করে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) মো. রাসেল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩১ অক্টোবর রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের গরীব উল্লাহপাড়া এলাকা থেকে আব্দুল্লাহ খোকন (ল্যাংড়া খোকন) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
পুলিশ জানায়, গত ৭ অক্টোবর বিকেলে ব্যবসায়ী হাকিম নিজের গাড়িতে করে শহরে ফিরছিলেন। মদুনাঘাট ব্রিজের পশ্চিম পাশে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা তাঁর গাড়ির সামনে এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। ঘটনার পরপরই চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও হাটহাজারী থানা যৌথভাবে তদন্ত শুরু করে।
খোকনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২ নভেম্বর রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরীহাট এলাকা থেকে মারুফ নামের আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মারুফ জানায়, হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র সাকলাইন হোসেনের হেফাজতে ছিল। পরে ৪ নভেম্বর রাতে বিশেষ অভিযানে নোয়াপাড়া এলাকা থেকে সাকলাইন হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে একনলা বন্দুক, একটি এলজি ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, রাউজান এলাকার বালু মহাল নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত জিয়াউর রহমানসহ মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও ১০-১২ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডসহ জেলার অন্যান্য অপরাধে জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পাশাপাশি নোয়াপাড়া, চৌধুরীহাট ও আশপাশের এলাকায় চেকপোস্ট, টহল ও রাত্রীকালীন তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে।