বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২২ অপরাহ্ন

‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালনের আহ্বান জামায়াত আমিরের

আগামী ৭ নভেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।

বুধবার (৫ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

জামায়াত আমির বলেন, “৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, এবং জাতির বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবিলার সংকল্পে ১৯৭৫ সালের এই দিনে মুক্তিকামী জনতা রাজপথে নেমেছিল।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ পাল্টা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন। তখন দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়ে রাজপথে নেমে খালেদ মোশাররফের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত প্রতিহত করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে হেফাজত করেছিল।’’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘‘আমরা এমন এক সময়ে ৭ নভেম্বর পালন করতে যাচ্ছি যখন জাতি আবারও গভীর সংকটের মুখোমুখি। জাতিকে পুনরায় ফ্যাসিবাদের হাতে তুলে দেওয়ার নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, এবং দেশবাসী সেই পদধ্বনি আবার শুনতে পাচ্ছে। যদি কারও দেশবিরোধী চক্রান্তে ফ্যাসিবাদ পুনরায় ফিরে আসে, তাহলে জাতি এক মহাসংকটে নিপতিত হবে।’’

‘‘এই পরিস্থিতিতে দেশ ও জাতিকে রক্ষার জন্য দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সকল দল-মত-নির্বিশেষে মানুষ, বর্তমান সরকার ও সামরিক বাহিনীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাই সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অঙ্গীকারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’’

সবশেষে জামায়াত আমির বলেন, ‘‘আমি ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য জামায়াতের সকল শাখা ও দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’’

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025