শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন
 
 জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, বিএনপি শুরু থেকেই গণভোট চায়নি। এখন বাধ্য হয়ে গণভোট মেনে নিয়েছে। আবার প্যাঁচ লাগিয়ে এটারে কেমনে মাইনাস করে দিতে চায় সে রাস্তায় গেছে। তারা (বিএনপি) গণভোটটাকে গলা টিপে হত্যা করতে চায়।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় মগবাজারস্থ আল-ফালাহ মিলনায়তনের চতুর্থ তলায় আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন তিনি।
মো. তাহের বলেন, বিএনপির দেওয়া নোট অব ডিসেন্টগুলো যদি সন্নিবেশিত হয় তাহলে তো এসব সংস্কারের প্রয়োজন নাই, এখন এসব ছুড়ে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিলেই তো হয়। তালবাহানা করার তো কোনো দরকার নাই, আপনি বলে দেন আমি কিছুই মানি না। যদিও আজকে তারা কিছুটা বলছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রথমে কোনো সংস্কারই চাচ্ছিল না। এরপরে জনগণের চাপে তারা সংস্কার কমিশনে অংশগ্রহণ করেছে। বিএনপিকে একমোডেট করার জন্য আমরা অনেক স্যাক্রিফাইস করেছি। অনেক পয়েন্টে মাইনাস করছি। পিএসসি থেকে শুরু করে অনেকগুলোর জন্য একটা সাংবিধানিক বডি করে দেওয়া, যেখানে প্রধানমন্ত্রী-প্রেসিডেন্ট-সরকারি দল যেমন : চাকরি নিয়োগের ক্ষেত্রে, তারপর ইলেকশন কমিশনে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। এটা বিএনপি বিরোধিতা করেছে, কেন করেছে আল্লাহই ভালো জানে এটাতো ভালো জিনিস, নিরপেক্ষ থাকতে পারে তবুও তারা করেছে। করার পরে আমরা আলোচনার সুবিধার জন্য এবং আলোচনা কন্টিনিউ করার জন্য স্যাক্রিফাইস করেছি।
তিনি বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রী একসঙ্গে ১০ বছরের বেশি থাকতে পারবেন না। তখন পত্রিকা দেখলাম যে বিএনপি মেনে নিয়েছে। কিন্তু আবার নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে। দিছেন তো দিয়েছেন, তাতে তো কোনো অসুবিধা নাই, রেজাল্ট যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। আরেকটা ছিল দলীয় প্রধান আর প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে হতে পারবেন না। এটা তো বিএনপির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত না। এটা যদি জামায়াতে ইসলামীও ক্ষমতায় আসে তাহলে আমাদের আমির শফিক সাহেব আমির আর দলীয় প্রধান একসঙ্গে হতে পারবেন না। বাকিদেরও একই।
তিনি বলেন, আমরা আর ফ্যাসিবাদ চাচ্ছি না। আমরা চাচ্ছি ক্ষমতার ডিস্ট্রিবিউশন। যেমন প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে বিএনপির অনেক আপত্তি ছিল, আমরা সেখানেও কিছু পয়েন্টে স্যাক্রিফাইস করেছি। একজন দলের প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না।
তাহের বলেন, এটা বিএনপি কেন মনে করে যে তারাই ১০০ বছর আগামীতে ক্ষমতায় থাকবে? তাদের জন্য এই আইনটা হলে সমস্যা হবে? এটা তো জনগণের ভোটাধিকারের যে একটা ক্ষমতা আছে। এই ক্ষমতাকে অস্বীকার করা।
তাহের বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা যদি কিছুই না মানেন ওটা তো একটা সমস্যা। আমরা আশা করবো প্রতীকের বিষয়ে কোনো দল চাপ দিয়ে ইলেকশন কমিশনকে যেন বিতর্কিত না করেন। কারণ ইলেকশন কমিশন যদি এখন বিএনপির কথা এটা চেঞ্জ করে দেয় আইন, তাহলে তো এটা পরিষ্কার হবে যে ইলেকশন কমিশন একটি দলের পক্ষে ভূমিকা দিচ্ছে। তাহলে ইলেকশন কমিশন আবার বিতর্কিত হবে।