বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৬ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন চাই। গণভোট আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগে চাই। গণভোটের রায়ের ভিত্তিতে নির্বাচন চাই এবং এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা চাই।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) মগবাজারের আলফালাহ মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, জুলাই সনদ ও গণভোটের ওপর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারকে যে আদেশ জারির সুপারিশ করেছে তা আজ (বৃহস্পতিবার) রাত অথবা আগামীকালের মধ্যেই বাস্তবায়ন করতে হবে। পিআর দাবি আদায় হয়নি, গণভোটও যদি না হয় তাহলে জামায়াতের পরবর্তী কর্মসূচি কী- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আদায় করতে পারিনি কে বলছে। আমরা আন্দোলনের মধ্যেই আছি। আজ রাতের মধ্যেই দেখি করবে কি না। কালও সময় আছে। বাকিটা কাল দেখা যাবে।
গণভোট গলা টিপে হত্যা করতেই বিএনপি নির্বাচনের দিন গণভোট চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির আচরণ হচ্ছে তারা কোথায় লাভবান হবে সেই হিসাব করেই সংস্কার চায়।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, আমরা বার বার বলে আসছি, ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন চাই। যে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, সেটার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন চাই। গণভোটও আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগে চাই। গণভোটের রায়ের ভিত্তিতে নির্বাচন চাই এবং এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা চাই।
আব্দুল্লাহ তাহের বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগেই কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এবং মহল থেকে বিভ্রান্তিমূলক ও পরিবেশ উত্তপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নির্বাচন বানচাল নিয়ে ফেসবুকে নানান প্রচারণা চলছে আমাদের বিরুদ্ধে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে আব্দুল্লাহ তাহের বলেন, বিএনপি বলছে, কোনোভাবেই গণভোট মানবে না। তাই ইন্টেরিম সরকারের অনতিবিলম্বে গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। কোনো সময়ক্ষেপণ না করে আজই ঘোষণা করুন। রাতের বেলায়ও অনেক আদেশ জারি করা যায়। নাহলে আপনার সরকারের ওপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলবে। যদি আস্থা হারিয়ে ফেলে তাহলে জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এমন ইস্যু সামনে এনে একটা রাজনৈতিক অনাকাঙ্ক্ষিত সংশয় ও আস্থাহীনতার পরিবেশ যেন তৈরি না হয়। সময়ক্ষেপণ করতে করতে একটা সময় যদি বলা হয় গণভোটের সময় নেই, তাহলে এটা হবে প্রতারণা। প্রতিটি দিন-ঘণ্টা এখন গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, ঐকমত্য কমিশন প্রতিটি বিষয়ে সবাইকে একমত করতে চেয়েছিল। পরিশেষে ৬০ শতাংশ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। সব দলের ঐক্যের ভিত্তিতে কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। রিফর্ম তো সবসময় হতে পারে না। জাতীয় নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে হতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এ টি এম মাছুম ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ।