মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪৫ অপরাহ্ন
আওয়ামী লীগের হামলায় ২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর নিহত ১৮ জনকে শহীদ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
২৮ অক্টোবর ‘পল্টন ট্র্যাজেডি’ দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার আয়োজিত চিত্র প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহিদুল ইসলাম এ দাবি জানান। জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান হয়।
শিবির সভাপতি বলেন, ‘আমাদের শাহাদতের পথ মাড়িয়ে আজকে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। দেশ হত্যা, গুম, খুনমুক্ত একটি বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আমরা আশা করবো ভবিষ্যতে কেউ হাসিনার মতো হয়ে উঠার চেষ্টা করবে না। খুনি হাসিনার মতো মানসিকতা কেউ আর পোষণ করবে না। যদি করে থাকে, তাহলে হাসিনার চেয়ে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। যদি হাসিনার মতো মানসিকতা লালন করে বাংলাদেশ পরিচালনার চেষ্টা করে, তাহলে সেটা সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্ত হবে। আমরা বাংলাদেশে ন্যায় এবং ইনসাফ ব্যতিত কোনো ফ্যাসিবাদ কায়েম হতে দেব না।’
জাহিদুল ইসলাম আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান প্রজন্ম যেমন বাংলাদেশ এবং রাজনীতি দেখতে চায়, তার সঙ্গে বোঝাপড়া করেই রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করবেন।
এসময় শিবির সভাপতি দুটি দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- ২৮ অক্টোবর হত্যাকাণ্ডের মামলা আবার চালু করে খুনিদের যথাযথ বিচার করতে হবে এবং নিহত শিবিরের ছয়জনসহ সারাদেশের মোট ১৮ জনের জন্য রাষ্ট্র থেকে ক্ষতিপূরণ ও তাদের শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি এবং ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম বলেন, ২৮ অক্টোবর খুনি হাসিনা হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের বীজ বপন করেছিল। লগি-বৈঠা নিয়ে মানুষ হত্যা করে নৃত্য করার মতো নৃশংসতা করেছে। কালচারাল ফ্যাসিবাদের মাধ্যমে এসবের বৈধতা তৈরি করেছিল।
গত ১৬ বছরে গুম হওয়া শিবিরের নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে ডাকসু ভিপি বলেন, হাজারো নেতাকে হত্যা, নির্যাতন ও গুম করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ- গুম হওয়া নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।