বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৩০ পূর্বাহ্ন
ট্রাম্পের দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, “পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংসের দাবি নিছক কল্পনা ছাড়াই কিছু নয়। স্বপ্ন দেখতেই থাকুন। ”
সোমবার নিজের সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে খামেনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, একটি দেশের পারমাণবিক শিল্প থাকলে, সেটি কী রাখবে আর কী রাখবে না- এটা বলার অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কোথা থেকে পান?
খামেনির এই মন্তব্য এমন এক সময় এল, যখন ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে সম্পর্ক আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে, আর তেহরান তা ‘মিথ্যা প্রচারণা’ হিসেবে বর্ণনা করছে।
ওই হামলায় নর্থরপ বি-২ স্পিরিট স্টেলথ বোমার দ্বারা বহনযোগ্য ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের এক ডজনেরও বেশি জিবিইউ-৫৭ সিরিজের বোমা ও সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। হামলার শিকার পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ইরানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র।
মূলত ১৩ জুন থেকে ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে তীব্র সংঘাত শুরু হয়। এর ফলে বিশ্বজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কারণ হিসেবে কিছু বিশ্বনেতা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে অচল করে দেওয়ার পদক্ষেপকে স্বাগত জানান।
অন্যদিকে, কিছু নেতা উত্তেজনা বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বা হামলার নিন্দা করেন।