শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:০০ পূর্বাহ্ন
মধ্যরাতে ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছোঁয়ার আগেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীর সারি দেখা যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ১২টা ১ মিনিটে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষাশহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় একুশের প্রথম প্রহর। একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা জানানোর পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন রফিক, সালাম, বরকত, শফিউর, জব্বাররা। তাঁদের রক্তে শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছিল দুঃখিনী বাংলা বর্ণমালা, মায়ের ভাষা।
একুশে ফেব্রুয়ারি আজ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা’ দিবস হিসেবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘জুলাই গণ অভ্যুত্থান : নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’।
সব পথ মিশে যায় শহীদ মিনারে : মধ্যরাতে রাজধানীর প্রতিটি এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখে মানুষের ঢল নামে।
আজ সরকারি ছুটি। জাতীয় দৈনিকগুলোয় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কদ্বীপ ও স্থান বর্ণমালাসংবলিত ফেস্টুন দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর তাদের ৩০তম সম্মেলনে ২৮ দেশের সমর্থনে একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০০০ সাল থেকে বিশ্বের ১৮৮ দেশে একযোগে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সারা দেশেই আজ থাকছে নানা আনুষ্ঠানিকতা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকেও গ্রহণ করা হয়েছে পৃথক কর্মসূচি। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা অমর একুশে উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতির আগমন ঠেকাতে কর্মসূচি : জুলাই গণহত্যার শহীদদের স্মরণে কালো পতাকা মিছিল বের করে একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আগমন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।