রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৫৫ অপরাহ্ন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর)। শেষ সময়ে প্রচারে সরগরম ক্যাম্পাস। শেষ সময়ে প্রার্থীদের সময় কাটছে ব্যস্ততায়।
জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার শেষ সময়ে সোমবার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আয়োজনটিকে ঘিরে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের সামনে প্রার্থীদের জমজমাট প্রচারণা করতে দেখা গেছে। এ ছাড়াও প্রার্থীদের শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল, কলম, বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে ও আনুষ্ঠানিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরণ করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আড়ম্বরপূর্ন আয়োজনে ২০২৪-২৫ সেশনের প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে।
একসাথে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর কাছে যেতে পারার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি প্রার্থীরা। অধিকাংশ প্রার্থীই সকাল থেকে জড়ো হন মিলনায়তন প্রাঙ্গণে। ছাত্রদল, ছাত্রশিবির মনোনীত প্যানেলসহ বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নবীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। প্রার্থীরা বলেন, একই বর্ষের এত শিক্ষার্থীকে এক সঙ্গে পাওয়া কঠিন। এই অনুষ্ঠানে তাদের পাওয়া গেছে। বিশালসংখ্যক এই শিক্ষার্থীর কাছে প্রার্থীরা তাদের বার্তা পৌঁছাতে কাজ করেছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনে কিছুটা আমেজ কমলেও শেষ সময়ে সেটি উৎসবে পরিণত হয়েছে। তিন যুগ পর হতে যাওয়া এ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রাফি উজ্জামান বলেন, নির্বাচনী আমেজে বারবার তারিখ পরিবর্তনে ভাটা পড়লেও এখন উৎসব উৎসব মনে হচ্ছে। কোথাও বসলে দশ মিনিটে অন্তত দশজন প্রার্থীর দেখা পাচ্ছি।
প্রার্থীদেরও যাচ্ছে শেষ সময়ের ব্যস্ততা। তারা ছুটে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীদের কাছে। এ বিষয়ে ছাত্রশিবির মনোনীত প্যানেলের জিএস ফাহিম রেজা বলেন, আমরা শেষ সময়ের প্রচারণা চালাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। তারা ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন।
ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের এজিস প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এটা আমাদের প্রার্থীদের কাছে ছুটে যেতে আরও আগ্রহী করছে।
এদিকে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সভা শেষে পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ান সাংবাদিকদের জানান, ভোটের তিনদিন ক্যাম্পাসে দুই হাজার পুলিশ, ৬ প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র্যাব কাজ করবে। এ ছাড়াও নিরাপত্তার জন্য বিএনসিসি ও স্কাউট সদস্যরা সহযোগিতা করবেন।
সার্বিক বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী দিনের নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। তারা আমাদের নির্বাচনের নির্বাচনের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করছি সবার সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন শিক্ষার্থীদের উপহার দিতে পারব।