বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০২:১৩ অপরাহ্ন

আফগান মন্ত্রীর প্রথম ভারত সফর, পতাকা সংকটে দিল্লি!

জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞায় থাকা আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি এক সপ্তাহের সফরে ভারতে পৌঁছেছেন। ২০২১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর প্রত্যাহারের পর তালেবান ক্ষমতা দখল করে। তার পর এই প্রথম কাবুলের কোনো শীর্ষ নেতার নয়াদিল্লি সফর এটি।

দিল্লিতে অবস্থানকালে আফগান মন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।

কাবুল সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে নয়াদিল্লির এই উদ্যোগ ইসলামাবাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছেও বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।তবে এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য সাউথ ব্লক যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন ভারতীয় কর্মকর্তাদের সামনে কূটনৈতিক দ্বিধাও দেখা দিয়েছে। কূটনৈতিক প্রোটোকল অনুযায়ী, অতিথি নেতার দেশের পতাকার সঙ্গে ভারতের পতাকা রাখতে হয়; ছবি তোলার সময় বা টেবিলের পেছনে।

কিন্তু ভারত এখনও তালেবান শাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।

তাই তালেবান পতাকাকে নয়াদিল্লি সরকারি মর্যাদা দিতে নারাজ। বর্তমানে নয়াদিল্লির আফগান দূতাবাসে এখনও আফগানিস্তান প্রজাতন্ত্রের পুরোনো পতাকা উড়ছে।অতীতে ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মুত্তাকির বৈঠকে কাবুল তালেবান পতাকা ব্যবহার করলেও ভারত ভিন্ন পথ নিয়েছিল। যেমন, চলতি বছরের শুরুতে দুবাইতে বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে মুত্তাকির বৈঠকে কোনো দেশের পতাকাই ব্যবহার করা হয়নি।

কিন্তু এইবার যেহেতু বৈঠক হচ্ছে দিল্লিতে, তাই প্রোটোকল মেনে পতাকার বিষয়টি দিল্লির কর্মকর্তাদের জন্য এক নতুন কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।ঐতিহাসিকভাবে ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও ২০২১ সালে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর নয়াদিল্লি কাবুলের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়। তবে, এক বছর পর বাণিজ্য, চিকিৎসা এবং মানবিক সহায়তার জন্য একটি ছোট মিশন ফের চালু করা হয়।

ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি না দিলেও দুই দেশের সম্পর্ক বরফ গলাতে আলোচনা শুরু হয়েছে। মুত্তাকির এই সফর সেই সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্প্রতি বাগরাম বিমান ঘাঁটি হস্তান্তরের জন্য ট্রাম্পের দাবিকে কেন্দ্র করে ভারত, রাশিয়া, চীন এবং আরও সাতটি দেশের সঙ্গে একযোগে আফগানিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে। ওই দেশগুলো এক যৌথ বিবৃতিতে আফগানিস্তানের সক্রিয় আঞ্চলিক সংযোগকে সমর্থন করেছে। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে বরাবরই আফগান ভূমিকে কোনো দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার না করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025