শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে কোরআন অবমাননার ঘটনায় ওই ইউনিভার্সিটির প্রশাসন দায় এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সুপরিচিত ইসলামি আলোচক আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়েখ আহমাদুল্লাহ।
রোববার (৫ অক্টোবর) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ক্লাসে হাদিসের উদাহরণ আনায় উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে ইতোপূর্বে বহিষ্কার করা হয়েছে। অথচ কুরআন অবমাননার ঘটনা ভাইরাল হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা অপূর্ব পালের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়-প্রশাসনও এই ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। এমন ছাত্রকে প্রশ্রয় দেয়ার অপরাধে তাদেরকে ক্ষমা চাইতে হবে।
কেউ কেউ অপূর্ব পালকে মানসিক রোগী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন উল্লেখ করে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আগেও অনেক ইসলাম অবমাননাকারীকে মানসিক রোগী বলে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কথা হলো, একজন মানসিক রোগী কীভাবে দেশের নামকরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে! তাছাড়া মানসিক রোগীরা কেন বারবার ইসলাম ধর্মের ওপরই আক্রমণ করে!
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, অপূর্ব পাল যা করেছে, এটা ধর্মীয় দাঙ্গা বাঁধানোর সুস্পষ্ট উসকানি। আমরা অবিলম্বে তার দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। পাশাপাশি সরকারের প্রতি আমাদের দাবি—অবিলম্বে ধর্ম অবমাননা বিষয়ে কঠোর ও সুস্পষ্ট আইন তৈরি করে এর বাস্তব প্রয়োগ ঘটাতে হবে। নতুবা দেশের শান্তি, সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা নষ্টকারী ন্যাক্কারজনক এসব ঘটনা বারবার ঘটতেই থাকবে।