বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন
টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত নেপাল। এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১১ জন। প্রবল বৃষ্টির কারণে নেপালের আটটি প্রধান নদীর পানি বিপৎসীমার অতিক্রম করায় এ দুর্যোগের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী পার্বত্য জেলা দার্জিলিংয়ে বন্যার কারণে হওয়া ভূমিধসে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। দার্জিলিং জেলা পুলিশ কর্মকর্তা অভিষেক রায় জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, আরও দু’জনের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে।
নেপাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের মুখপাত্র কালিদাস ধাউবোজি জানান, ভারতের সীমান্তবর্তী পূর্বাঞ্চলীয় ইলাম জেলায় পৃথক ভূমিধসে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। বন্যায় পূর্বাঞ্চলীয় উদয়পুর জেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়ায় নিখোঁজ রয়েছে আরও ১১ জন। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) নেপালের হাইড্রোলজি অ্যান্ড মেটিওরোলজি বিভাগ জানিয়েছে, বাগমতী, সুন কোশি, অরুণ, তামোর, কোশি, বুড়িখোলা এবং বিরিং খোলা নদীগুলোর পানি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব নেপালের কোশি নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোশি ব্যারেজের সব ৫৬টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রবল বন্যায় দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে সড়ক ও সেতু ভেসে গেছে। এতে শত শত যাত্রী বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়েছেন।
কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের মুখপাত্র রিঞ্জি শেরপা জানিয়েছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলো মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে, তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এখনো স্বাভাবিকভাবে রয়েছে।
টানা বৃষ্টিপাত আরও ভূমিধস ও বন্যার আশঙ্কা তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে নেপালের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নেপালের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার(৬ অক্টোবর) পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
সূত্র : রয়টার্স
কেএম