বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:০৫ অপরাহ্ন
ইসরায়েলকে ফাঁকি দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সুমুদ ফ্লোটিলার ৩০ জাহাজ। গাজা উপকূল থেকে আর মাত্র ৮৫ কিমি দূরে রয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি নৌবাহিনীর নজরদারি এড়িয়ে গাজার উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাচ্ছে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার অন্তত ৩০টি জাহাজ। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এখনো দৃঢ়ভাবে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে এবং গাজার উপকূল থেকে মাত্র ৮৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েল এরই মধ্যে ফ্লোটিলার ১৩টি জাহাজ আটক করেছে বলে দাবি করেছে। তবে কর্মী-সংগঠনটি বলছে, এই বাধা তাদের মিশন থামাতে পারবে না।
সংগঠনটির ভাষ্য, অবৈধভাবে চালানো ইসরায়েলি বাধা সত্ত্বেও তারা গাজার অবরোধ ভাঙতে এবং একটি মানবিক করিডর খুলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তাদের দাবি, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় অনাহারে থাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য এই নৌবহর খাদ্য ও মানবিক সহায়তা বহন করছে।
UPDATE – OCTOBER 2ND, 3:20 GMT+3
30 boats still sailing strong on their way to Gaza, just 46 nautical miles away, despite the incessant aggressions from the Israeli occupation navy. https://t.co/kGXcmaQ9om
— Global Sumud Flotilla (@gbsumudflotilla) October 2, 2025
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, তারা আশা করছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই মিশনে সমর্থন জানাবে এবং গাজার মানবিক সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখবে।
সুমুদ ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় জানিয়েছেন, গাজামুখী সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে ৩৭ দেশের দুই শতাধিক কর্মীকে বন্দি করেছে ইসরায়েল।
তিনি বলেন, আটক হওয়া নৌযানগুলোতে ৩৭ দেশের ২০১ জন কর্মী ছিলেন। এর মধ্যে স্পেন থেকে ৩০ জন, ইতালি থেকে ২২ জন, তুরস্ক থেকে ২১ জন এবং মালয়েশিয়া থেকে ১২ জন অংশ নেন।
বাংলাদেশের শহিদুল আলম ছাড়াও সুমুদ ফ্লোটিলায় রয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রুহি আক্তারও।
আবুকেশেক জানিয়েছেন, গ্রেফতার ও বাধা সত্ত্বেও অভিযান চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং এখনো প্রায় ৩০টি জাহাজ গাজায় পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ফ্লোটিলার অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আন্তর্জাতিক পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী গ্রেটা থানবার্গকেও গ্রেফতার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী ।
ইসরায়েল বলছে, গাজাগামী এই নৌযানগুলো ‘আইনসম্মত নৌ অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করছে।’ তবে আন্তর্জাতিক আইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অধিকার রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। নিরাপত্তার জন্য ফ্লোটিলার পক্ষ থেকে যাত্রাপথ সরাসরি ভিডিও সম্প্রচারও করা হচ্ছে।
কেএএ/