বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:১০ অপরাহ্ন
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এখন ১৮ কোটি মানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান।তিনি বলেন, এই দাবি আদায়ের জন্য জনগণ রাজপথে নামতে বাধ্য হতে পারে, যদি সরকার এই সনদ বাস্তবায়নে দেরি করে। যেকোনো দাবি আদায়ে বাংলাদেশের ঐতিহ্যই হলো আন্দোলন ও সংগ্রাম।
বুধবার ( ১৭ সেপ্টেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
রফিকুল ইসলাম খান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উদাহরণ টেনে বলেন, অতীতে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন কীভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পার্লামেন্ট ও সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের মাধ্যমেই তা বাস্তবায়িত হয়েছিল। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, সরকার যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দেরি করে, তাহলে জনগণ আবার রাজপথে নামবে, যা খুবই স্বাভাবিক।
জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু হবে এবং সাংবিধানিক বিষয়গুলো তাতে স্থান পাবে।যারা বলছেন, সাংবিধানিক বিষয়গুলো এখানে স্থান পাবে না। শুধু অমৌলিক বা কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে হচ্ছে হবে। মৌলিকগুলো পার্লামেন্টে যাবে।
তিনি বলেন, আমরা সেখানে বলেছি, পার্লামেন্টের এখতিয়ার নেই সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করার। কিন্তু এই প্রশ্নের জবাব উনারা (বিএনপি) দিতে পারে নাই।আদালতকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার প্রসঙ্গে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মধ্যবারবার এই বিষয়টি উঠে এসেছে। যদি আজকের ঐকমত্য কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, সে বিষয়ে সবাই একমত হয়, তাহলে দেশ আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি সুন্দর ও যথাসময়ে নিবাচন পাবে।
তিনি আরও বলেন, ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে একটি নতুন বাংলাদেশ এবং নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি হবে, যেখানে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। জামায়াতের এই নেতা মনে করেন, জুলাই সনদকে প্রত্যাখ্যান করার কোনো সুযোগ নেই। যারা এর বিরুদ্ধে হাঁটবে, জনগণ তাদের ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। সাম্প্রতিক ছাত্র সংগঠনের নির্বাচনের ফলাফল প্রমাণ করেছে যে জনমত ও জনগণের আকাঙ্ক্ষাকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত।