বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৭ অপরাহ্ন
৩৬৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল ও নাবিল গ্রুপের মালিক আমিনুল এবং ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৪৩ জনের নামে মামলা করেছে দুদক। নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান ‘নাবা এগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের’ অনুকূলে ইসলামী ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে এই ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করা হয়। দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার আসামিরা হলেন-এস আলম গ্রুপের মালিক মো. সাইফুল আলম, নাবিল গ্রুপের মালিক ও এমডি মো. আমিনুল ইসলাম, সোনালী ট্রেডার্সের পরিচালক শহিদুল আলম, সেঞ্চুরি ফ্লাওয়ার মিলসের এমডি মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো. হাছানুজ্জামান নাবা এগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন অর রশিদ ও একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের কর্মকর্তারা হলেন- ব্যাংকটির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (সাবেক ডিএমডি) মিফতাহ উদ্দিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আইসি কমিটির সদস্য মুহাম্মদ কায়সার আলী, এফএভিপি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, এভিপি ও ইনভেস্টমেন্ট ইনচার্জ, গুলশান শাখা মো. আকির হোসেন মিজি, ইডিপি ও শাখা ব্যবস্থাপক এটিএম শহিদুল হক, আইসি কমিটি সদস্য সৈয়দ আবু আসাদ, ডিএমডি ও আইসি কমিটি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, সিইও ও ইনভেস্টমেন্ট কমিটি সদস্য মোহাম্মদ আলী, নির্বাহী কমিটি সদস্য মোহাম্মদ সালেহ জহর, ডিএমডি ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ।
আসামির তালিকায় আরও রয়েছেন ইসলামী ব্যাংক বোর্ড অব ডিরেক্টরসের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. নাজমুল হাসান, নির্বাহী কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তানভীর আহম্মদ, প্রফেসর ড. মো. সামিউল আলম, সদস্য ও সাবেক এমডি মোহাম্মদ মুনিরুল হক, এসইভিপি মো. আলতাফ হোসাইন, এসইভিপি জি এম মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদের, পরিচালক ইয়াসিয় আব্দুল্লাহ আল-রাজি, মেজর জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মতিন, মোহাম্মদ সোলায়মান, ড. আরিফ সুলেমান, মো. সিরাজুল করিম, প্রফেসর মো. জামাল উদ্দিন, মো. জয়নাল আবেদীন, প্রফেসর কাজী শহিদুল আলম, খুরশীদ উল আলম, মো. কামাল হোসেন গাজী ও পরিচালক মো. নাদির উদ্দিন, এসইভিপি মোহাম্মদ উল্লাহ, এসইভিপি মোহাম্মদ গাজী, ব্যাংকটির দোলাইখাল শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী, সিন্ডিকেট ফাইন্যান্স বিভাগের মীর মোবাশ্বির হোসেন,এভিপিমো. কামরুজ্জামান, এফএভিপি মাসুদ মোহাম্মদ ফারুক, এক্সিকিউটিভ কমিটি সদস্য মো. কামরুল হাসান এবং প্রিন্সিপাল অফিসার কাজী ফারজানা ইশরাত।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের গুলশান শাখার নামসর্বস্ব ‘নাবা এগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল’ নামক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋনের প্রস্তাবনা সুপারিশ ও অনুমোদন করে আসামিরা। পরস্পর যোগসাজশে তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডপত্র তৈরি করে অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। যেখানে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় নবগঠিত প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে ৬৭০ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা মঞ্জুর হয়।
মঞ্জুকৃত ৬৭০ কোটি টাকার মধ্যে ৩৬৩ কোটি টাকা বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে।