মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
গাইবান্ধায় ঘাঘট নদী থেকে স্কুল শিক্ষিকার ভাসমান লাশ উদ্ধার রাকসু নির্বাচনে ১৭ কেন্দ্রে ৯৯০ বুথ, নিরাপত্তায় ২ হাজার পুলিশ চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দেশে বেকারের সংখ্যা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেনি: অর্থ উপদেষ্টা ইসরায়েলকে ঠেকাতে যৌথ প্রতিরক্ষা সক্রিয় করতে চায় মুসলিম দেশগুলো গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল: জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন আশা নাহিদ ইসলামের- নির্বাচনের পরও নতুন সরকার ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ চলমান রাখবে হত্যার উদ্দেশে হামলা- জিএম কাদের ও পাটোয়ারীসহ ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন মেহেরপুরে আদালত চত্বর থেকে আসামি অপহরণ, আটক ১০ বিসিএস পরীক্ষার জন্য কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত

গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল: জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন

জাতিসংঘের একটি তদন্ত কমিশন জানিয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল। ২০২৩ সালে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সংঘটিত ঘটনায় গণহত্যার আন্তর্জাতিক আইনে বর্ণিত পাঁচটি অপরাধের মধ্যে অন্তত চারটি সংঘটিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনী যে চারটি অপরাধ সংঘটিত করেছে তা হলো একটি গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা, তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে গুরুতর ক্ষতিসাধন, গোষ্ঠীটিকে ধ্বংস করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে জীবনযাপনের উপযোগী পরিবেশকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিপর্যস্ত করা এবং তাদের মধ্যে প্রজনন প্রতিরোধ করা।

ইসরায়েলি নেতাদের প্রকাশ্য বক্তব্য ও সামরিক বাহিনীর আচরণকে গণহত্যার অভিপ্রায়ের প্রমাণ হিসেবে উল্লিখিত করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই প্রতিবেদনকে বিকৃত ও মিথ্যা আখ্যা দিয়ে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, কমিশনের তিনজন বিশেষজ্ঞ হামাসের প্রতিনিধির মতো কাজ করছেন এবং তারা হামাসের মিথ্যাচারকে ভিত্তি করে প্রতিবেদন তৈরি করেছেন, যা বহুবার প্রমাণসহ খণ্ডন করা হয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে দক্ষিণ ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এর পরপরই ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে।

গাজার হামাস-শাসিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৪ হাজার ৯০৫ জন নিহত হয়েছেন।

এর পাশাপাশি গাজার প্রায় সমগ্র জনগোষ্ঠী একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে, ৯০ শতাংশেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং জাতিসংঘ-সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা গাজা সিটিতে দুর্ভিক্ষের ঘোষণা দিয়েছেন।

সূত্র: বিবিসি

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024