বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
সরকারের পছন্দের ব্যক্তিদের রাজস্ব ফাঁকি রোধে এনবিআর বিলুপ্ত হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে বিশ্বের সব নিষ্ঠুরতা ছাড়িয়ে গেছেন হাসিনা: প্রধান উপদেষ্টা অর্থনীতির সবখানেই জিয়াউর রহমানের স্পর্শ রয়েছে: রিজভী মাসউদের ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপির লজ্জিত হওয়া উচিত: সারজিস আলম হান্নান মাসউদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় এনসিপির বিক্ষোভ ঈদের কেনাকাটা নিরাপত্তা শঙ্কায় মধ্যরাতে ক্রেতা কম স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা তামিমের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে পরিবার ও বিসিবি ইতেকাফের সময় প্রয়োজনীয় বেচাকেনা করা যাবে?

ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূখণ্ডেই থাকতে দিতে হবে : মিশর

ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজ ভূখণ্ডেই থাকতে দিতে হবে এবং গাজার পুনর্গঠনের কাজ দ্রুত করার আহ্বান জানিয়েছে মিশর।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানান মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি।

বৈঠকে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, আরব দেশগুলো গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের পরিকল্পনা একেবারেই মেনে নেবে না।

মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গাজায় মানবিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, তবে কোনোভাবেই ফিলিস্তিনিদের তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য করা যাবে না।

 

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ট্রাম্পের পরিকল্পনার নাম সরাসরি না নিলেও, রুবিও গাজার ভবিষ্যৎ শাসন ও নিরাপত্তা নিয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেওয়া যাবে না এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

আবদেলাত্তি জানান, মিশর নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত, তবে সেটি অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা রক্ষার ভিত্তিতে হতে হবে। তিনি মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গেও বৈঠক করেন এবং একই বার্তা দেন।

 

ফিলিস্তিনিরা গাজাকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে দেখে, তাই তাদের জন্য গাজা ছাড়ার প্রস্তাব একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। আরব প্রতিবেশী দেশগুলোও এই বিষয়টি পরিষ্কার করেছে যে, তারা গাজার সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের নিজেদের দেশে আশ্রয় দিতে রাজি নয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে মিশর ও জর্ডান যেন গাজার ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করে। পরে তিনি আরও এগিয়ে গিয়ে গাজার ওপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন, যেখানে ফিলিস্তিনিদের নিজ দেশে ফেরার কোনো অধিকার থাকবে না।

এই পরিকল্পনা বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মানবাধিকার সংগঠন ও জাতিসংঘ এটিকে জাতিগত নির্মূলের চেষ্টা হিসেবে দেখছে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024