সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০:২৯ অপরাহ্ন
রবিবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তিনি লিখেছেন, ‘আজকে খুলেই বলা যায়, আমরা জানতাম মেহদী হাসান খান পুরস্কার গ্রহণ করতে আগ্রহী না।
‘আমরা আনন্দের সাথে জানাচ্ছি, স্রোতের বিপরীতে এগিয়ে যাওয়া এই চার গুণীকেই অভ্র’র জন্য দলগতভাবে একুশে পদকে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৪ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়।
এ বছর শিল্পকলায় পাঁচজন, ভাষা ও সাহিত্যে দুইজন এবং সাংবাদিকতায় একজন, সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে একজন, শিক্ষায় একজন, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় একজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একজন, গবেষণায় একজন, সমাজসেবায় একজন এবং বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলকে একুশে পদক দেওয়ার সিদান্ত হয়েছে।
শিল্পকলায় পদক পাচ্ছেন আজিজুর রহমান (মরণোত্তর-চলচ্চিত্র), ফেরদৌস আরা (সংগীত), উস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর-সংগীত), নাসির আলী মামুন (আলোকচিত্র), রোকেয়া সুলতানা (চিত্রকলা)। ভাষা সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পদক পাচ্ছেন হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর) ও শহীদুল জহির (মো. শহীদুল হক) (মরণোত্তর)।
এছাড়া, সাংবাদিকতায় মাহফুজ উল্লা (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় ও মাবিাধিকারে মাহমুদুর রহমান, শিক্ষায় ড. নিয়াজ জামান, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় ড. শহীদুল আলম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেহেদী হাসান খান (পরে দলগতভাবে চারজনকে), সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর) ও গবেষণায় মঈদুল হাসান এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
ক্রীড়া বিভাগে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলকে মনোনীত করা হয়েছে।
পদকপ্রাপ্তদের ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, একটি সম্মাননাপত্র ও চার লাখ টাকার চেক দেওয়া হবে। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা হয়েছিল একুশে পদক। প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার দিয়ে থাকে সরকার।