বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন
গত বৃহস্পতিবার এক অভ্যন্তরীণ মিটিংয়ে এসব পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করেন জাকারবার্গ। নিউইয়র্ক টাইমসের ফাঁস হওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমাদের এখন মার্কিন সরকারের সঙ্গে ফলপ্রসূ সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে, এবং আমরা তা কাজে লাগাব।
মেটার বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি (ডিইআই) উদ্যোগ বন্ধের সিদ্ধান্তও ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
জাকারবার্গ বলেন, “আমরা এমন এক নীতিগত ও আইনি বাস্তবতায় আছি, যেখানে কোনো একটি গ্রুপকে বিশেষ সুবিধা দিলে সেটিকে অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। ”
যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের চাপ থাকলেও বিশ্বের বড় কোম্পানিগুলোর মধ্যে অ্যাপল ও কস্টকো এখনো তাদের ডাইভারসিটি কর্মসূচি চালু রেখেছে।
সংবাদ আউটলেট ৪০৪ মিডিয়া মেটার আরেকটি মিটিংয়ের অডিও ফাঁস করেছে, যেখানে জাকারবার্গকে বলতে শোনা যায়, “আমি যা বলি, তা মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে যায়।
এ পরিস্থিতিতে কর্মীদের সতর্ক করে মেটা একটি নথি পাঠিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, “কেউ যদি মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন, তবে তাঁকে বরখাস্ত করা হবে। ”
মিটিংয়ের শেষ দিকে জাকারবার্গ টিকটকের ওপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গও তোলেন। তিনি বলেন, “টিকটক আমাদের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী, তবে এ বিষয়ে আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই।
এ ছাড়া চীনা এআই অ্যাপ ডিপসিকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারা তাদের এআই মডেল খুব কম দামে উন্মুক্ত করেছে, যা মার্কিন এআই মডেলগুলোর তুলনায় অনেক সস্তা। ”
তবে মেটার নিজস্ব লামা এআই মডেল ওপেনসোর্স হওয়ায় ডিপসিকের সাশ্রয়ী মডেল তাদের ব্যবসায় তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।