বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ নেই: জামায়াত আমির জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি মুহাম্মদ ইউনূসের মাধ্যমেই হতে হবে: সারজিস জুলাই সনদ ও গণভোট ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎ চায় ৮ দল ১৩ নভেম্বর বাকশালপন্থীরা রাস্তায় নামলে মোকাবিলা করা হবে : মামুনুল হক সম্মিলিত ছাত্র সংসদের বিবৃতিতে দেশব্যাপী চিরুনি অভিযান পরিচালনার দাবি শাবিপ্রবির মেয়েদের হলে পানির ফিল্টার দিল শিবির নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ: প্রেস সচিব ১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ ঘিরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ফ্যাসিবাদী গুম-খুন ও লুটপাট নিয়ে ঢাকার ১০ পয়েন্টে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী বুধবার

আমরা জানি খামেনি কোথায়, তবে এখনই তাকে হত্যা নয়: ট্রাম্প

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কোথায় লুকিয়ে আছেন আমরা জানি, তবে এখনই তাকে হত্যা করবো না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‌‌‘আমরা জানি সেই তথাকথিত সুপ্রিম লিডার (আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি) কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি সহজ লক্ষ্য, কিন্তু সেখানে তিনি নিরাপদ- আমরা তাকে সরিয়ে (হত্যা করে) ফেলবো না, অন্তত আপাতত নয়।’

ট্রাম্প আরও লেখেন, ‘কিন্তু আমরা চাই না বেসামরিক নাগরিকদের বা আমেরিকান সেনাদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ হোক। আমাদের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে। এ বিষয়ে আপনার মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ!’

আরেক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ‘আমরা এখন ইরানের আকাশসীমা পূর্ণাঙ্গ ও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি।’

তিনি লেখেন, ‘ইরানের ভালো মানের স্কাই ট্র্যাকার ও অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম ছিল এবং তা ছিল প্রচুর পরিমাণে। কিন্তু সেগুলো আমেরিকায় তৈরি, পরিকল্পিত ও প্রস্তুতকৃত সরঞ্জামের সঙ্গে তুলনাই চলে না। যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এটা কেউই ভালোভাবে করতে পারে না।’

এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ৮৬ বছর বয়সী আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ক্রমেই একা হয়ে পড়ছেন। সাম্প্রতিক ইসরায়েলি বিমান হামলায় সামরিক ও গোয়েন্দা উপদেষ্টাদের নিহত হওয়ার পর তার সিদ্ধান্ত গ্রহণের অভ্যন্তরীণ বলয় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে পাঁচটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান হোসেইন সালামি, ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির প্রধান আমির আলি হাজিজাদেহ এবং গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ কাজেমি। তারা সবাই খামেনির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপদেষ্টাদের মধ্যে ছিলেন।

সূত্র জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঝুঁকি এখন অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।

খামেনি ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের আগেই কারাবরণ করেন ও পরে এক বোমা হামলায় গুরুতর আহত হন। ১৯৮৯ সালে সর্বোচ্চ নেতার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে অটল থেকেছেন এবং পশ্চিমা শক্তির প্রতি গভীর অবিশ্বাস প্রকাশ করে আসছেন।

সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025