রবিবার, ২০ Jul ২০২৫, ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
শনিবার ঢাকায় সমাবেশ- বিপুল সমাগমে দুর্ভোগের আশঙ্কায় জামায়াতের আগাম দুঃখ প্রকাশ ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে ‘ডেভিল রানি:সোহেল তাজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করলেন শারমিন আহমদ ও সোহেল তাজ জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল বেকারত্ব : আসিফ মাহমুদ গোপালগঞ্জে কারফিউ অব্যাহত থাকবে: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: তিন আসামির স্বীকারোক্তি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের দুঃসাহস দেখাবেন না : মীর হেলাল নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের দুঃসাহস মোকাবেলা করতে হবে: গোলাম পরওয়ার নির্বাচন নিয়ে তলে তলে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : রিজভী গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল ডেমোক্রেসির জন্য, চলছে মবোক্রেসি : সালাহউদ্দিন আহমদ

শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে ভারতে জয়

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে এখন ভারতে রয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর প্রথমবার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এলেন জয়।

ভারতের নিরাপত্তা এজেন্সিগুলোর একাধিক সূত্র এবং ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, গত শুক্রবার (৬ জুন) সজীব ওয়াজেদ জয় ভারতে আসেন। তার পরের দিনই ছিল ঈদুল আজহা। মায়ের সঙ্গেই ঈদ কাটিয়েছেন তিনি।

মায়ের সঙ্গে ঈদ করতেই ভারতে এসেছেন জয়। তার এ সফর যতটা না রাজনৈতিক, তারচেয়েও বেশি পারিবারিক- বলছে সূত্রগুলো।

বাংলাদেশে কার্যত নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন, কিন্তু তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছিল। তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ওই পাসপোর্ট বাতিল করে দেয়।

তারা আরও জানান, সজীব ওয়াজেদ জয় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট পেয়েছেন। পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার কয়েক দিন আগেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড পান। গ্রিন কার্ড পাওয়ার পর থেকেই জয়ের ভারত ভ্রমণ নিয়ে আলোচনা চলছিল।

ভারতীয় নিরাপত্তা এজেন্সির সূত্রগুলো জানাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে মাস কয়েক পর সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভারতে আসার কথা ছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তার ভারতে আসার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছিল। তবে সেই সফর এগিয়ে এনে গত শুক্রবারই দিল্লিতে আসেন তিনি। বিমানবন্দর থেকে যথাযথ নিরাপত্তা দিয়েই তাকে পৌঁছিয়ে দেওয়া হয় শেখ হাসিনার কাছে।

ভারতীয় নিরাপত্তা এজেন্সির সূত্রগুলো এ-ও জানিয়েছে, ভিভিআইপিদের যেভাবে পাইলট কারসহ সামরিক পোশাক পরিহিত নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটোপে নিয়ে যাওয়া হয়, ঠিক সেভাবে সজীব ওয়াজেদ জয়কে বিমানবন্দর থেকে নেওয়া হয়নি। তবে কড়া নিরাপত্তা ছিল, আর পুরোটাই করা হয়েছে অত্যন্ত গোপনে।

শেখ হাসিনা যে গোপন ঠিকানায় আছেন সেখানে এখন তার ছোট বোন শেখ রেহানাও রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগের কয়েকটি সূত্র। শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক। কিন্তু ভাইয়ের সঙ্গে তার দেখা হয়েছে কি না, সেটি কোনো সূত্র থেকেই নিশ্চিত করা যায়নি।

আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা বলেন, মায়ের সঙ্গে এত মাস পরে ছেলের দেখা হয়েছে। তারা ঈদ কাটিয়েছেন একসঙ্গে, গত কয়েকদিন একসঙ্গেই আছেন। নিশ্চই রাজনৈতিক আলোচনাও হয়েছে কিছু। তবে জয়ের এই সফর বেশিটাই পারিবারিক সফর।

ওই নেতা আরও বলেন, এই কদিনের মধ্যে নেত্রীর সঙ্গে কথা হয়নি। কিন্তু যখন কথা হবে, নিশ্চই আমরা জানতে পারব যে তাদের দুজনের মধ্যে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখন তারা পারিবারিক সময় কাটাচ্ছেন।

তবে দিল্লিতে এখন পর্যন্ত সজীব ওয়াজেদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের শীর্ষ কোনো নেতার দেখা হয়নি বলে জানা গেছে। এছাড়া এবারের সফরে জয়ের কলকাতায় আসার কোনো পরিকল্পনা নেই, বলছে ভারতের নিরাপত্তা এজেন্সির সূত্রগুলো।

আওয়ামী লীগের সূত্র জানিয়েছে, সজীব ওয়াজেদ জয়ের দীর্ঘ সময় ভারতে থাকার পরিকল্পনা নেই। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো ফিরে যাবেন তিনি।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024