শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:২৮ অপরাহ্ন
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদকে আগামী জুলাইয়ে তার শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আগাম অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আগামী ১০ জুলাই ১০০ বছরে পা রাখবেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা দুজনেই নিকেই ফোরাম: ফিউচার অফ এশিয়া সম্মেলনের এক ফাঁকে একে অপরের সঙ্গে দীর্ঘকালের বন্ধুত্বের স্মৃতি স্মরণ করেন।
‘আমি আপনাকে আগাম ১০০তম জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই,’ প্রধান উপদেষ্টা মাহাথিরকে বলেন। মাহাথির ১৯৮১ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত এবং ২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত মোট ২৪ বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রায় ৪০ মিনিটের এই বৈঠকে তারা পারস্পরিক আগ্রহের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এর মধ্যে ছিল বাংলাদেশের আসিয়ান সদস্যপদ লাভের আকাঙ্ক্ষা এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু।
বাংলাদেশ কয়েক বছর আগে আসিয়ানের সেক্টোরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার জন্য আবেদন করে, যার লক্ষ্য ছিল পূর্ণ সদস্য হওয়া। বর্তমানে আসিয়ানের চেয়ার মালয়েশিয়া।
‘বাংলাদেশের আসিয়ান সদস্যপদ অর্জনের জন্য আমাদের মালয়েশিয়ার সমর্থন প্রয়োজন,’ প্রধান উপদেষ্টা মাহাথিরকে বলেন। মাহাথির মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আসিয়ানকে একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার কাছে কৃতজ্ঞ, কারণ দেশটি বিভিন্ন খাতে লাখ লাখ বাংলাদেশিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছে।’
‘বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে মালয়েশিয়ার নাম জানা আছে, কারণ মানুষ সেখানে কাজের জন্য যায়,’ তিনি বলেন।
মাহাথির উল্লেখ করেন, বহু বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় ব্যবসা শুরু করে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার উন্নয়নে লুক ইস্টনীতির ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশকেও এ ধরনের নীতি গ্রহণের পরামর্শ দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশও মালয়েশিয়ার প্রতিবেশী দেশ ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে মালয়েশিয়ার মতো ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পরিচিত নয়।
অধ্যাপক ইউনূস মাহাথিরকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তার প্রভাব ব্যবহার করার অনুরোধ জানান। তিনি মাহাথিরকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
মাহাথির বলেন, তার চিকিৎসকেরা ভ্রমণে অনুমতি দিলে তিনি এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করবেন। তবে তার শারীরিক অবস্থার কারণে চিকিৎসকেরা ভ্রমণে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছেন।