মঙ্গলবার, ১৭ Jun ২০২৫, ০২:৪১ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
ইরানের হামলায় জ্বলছে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগার, নিহত ৩ জি-৭ সম্মেলন থেকে আগেভাগেই দেশে ফিরলেন ট্রাম্প এবং রুবিও:ইসরায়েল-ইরান সংঘাত খামেনিকে হত্যা করলে সংঘাত শেষ হবে: নেতানিয়াহু নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোট নিশ্চিত করতে হবে: সারজিস উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়া, সমুদ্র বন্দরে সতর্ক সংকেত শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি: আসিফ মাহমুদ গুমের ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ইরানের আকাশেই তাদের দুই যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের তেহরানের পূর্ব-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বিস্ফোরণ এখনো ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত থেকে গণমাধ্যম পুরোপুরি মুক্ত নয়: তারেক রহমান

গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে: তারেক রহমান

মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহ উপলক্ষে সোমবার (২৬ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও মে মাসের শেষ সপ্তাহে গুম সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে এ আন্তর্জাতিক সপ্তাহ। ২০০৯ থেকে ২০২৪ এর মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে প্রায় ৬৬৬ জন ব্যক্তি গুম হয়েছেন।

তিনি বলেন, আমাদের হিসেবে উল্লিখিত গুমের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে। তাদের মধ্যে অধিকাংশ এখনও নিখোঁজ। অনেকেরই মরদেহ পাওয়া গেছে আবার অনেকদিন পর কাউকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এটি বিগত আওয়ামী শাসনামলের একটি বর্বর দুঃশাসনের নমুনা। উল্লিখিত সংখ্যা গুম হয়ে যাওয়া পরিবার কর্তৃক প্রদত্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে। আর অনেক আতঙ্কিত পরিবারই রিপোর্ট করার সাহস পায়নি।

তারেক রহমান বিবৃতিতে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া ব্যক্তিদের ১০/১৫ বছরেও কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের গুমের ঘটনাগুলোর সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছেন বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এছাড়াও গুমের শিকার হয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবীসহ সাধারণ মানুষও।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম আইন অনুযায়ী- কোনো ব্যক্তিকে গুম করা একটি মানবাধিকারবিরোধী অপরাধ। মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহে আমি এই গুম হওয়া মানুষদের অসহায় পরিবারের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। আর কোনো ব্যক্তি যাতে গুমের শিকার না হন সেজন্য রাষ্ট্রকে জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আর যেন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের মতো অমানবিক ঘটনা না ঘটে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024