রবিবার, ১৫ Jun ২০২৫, ০২:০২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ইরানের একাধিক শহরে ফের ইসরায়েলের হামলা আটকে পড়া ইরানি হাজিদের সব ধরনের সহায়তার নির্দেশ সৌদি বাদশাহর । ইসরায়েলে দেড় শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান তেহরানে আবাসিক ভবনে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৬০ ইসরায়েলের হামলায় ইরানের আরও তিন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত উত্তরায় র‌্যাব পরিচয়ে ‘নগদ’ এজেন্টের কাছ থেকে কোটি টাকা ছিনতাই মামলার চাপ কমাতে আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা গুরুত্বপূর্ণ: আইন উপদেষ্টা পুলিশের কাছে রাইফেল থাকলেও মারণাস্ত্র থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশা কেটে গেছে: জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট সরকার ও বিএনপির সমঝোতা রাজনৈতিক সংকট দূর করবে: ইসলামী আন্দোলন

৫ মে শাপলা চত্বরে ৯৩ শহীদের তথ্য প্রকাশ করলো হেফাজত

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশে ৯৩ জন শহীদের তথ্য প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। একে প্রাথমিক খসড়া তালিকা দাবি করে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

হেফাজতে ইসলাম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। হেফাজতে ইসলামের জনসংযোগ বিভাগের দায়িত্বে থাকা কেফায়েতুল্লাহ আজহারীও জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

তিনি জানান, এই ৯৩ জনের তালিকা প্রাথমিক তথ্য। কাজ চলছে, এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচলিত ছিল সেদিন রাতের আঁধারে হাজারের বেশি নিহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় বেসরকারিভাবে কাজ করা প্রতিষ্ঠান অধিকার ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট তাদের ফেসবুকে ৬১ জনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করে।

অন্যদিকে গত ২ মে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, ওই ঘটনায় কতজন নিহত হয়েছিলেন, তা নিয়ে যখন গোটা বিশ্ব বিভ্রান্ত, তখন তিনি এবং মার্ক ডামেট (তৎকালীন বিবিসি ঢাকা প্রতিনিধি) মিলে দুই সপ্তাহ ধরে মাঠে কাজ করেন। তাদের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৫ ও ৬ মে’র সহিংসতায় অন্তত ৫৮ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে সাতজন ছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।

 

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়েছিল কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশ। সেসময় হেফাজতে ইসলামের আমির ছিলেন আল্লামা শাহ আহমেদ শফি। তার নেতৃত্বে কয়েকজন ব্লগারের ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কটূক্তি ও নারী নীতির বিরোধিতা করে ১৩ দফা দাবি জানিয়েছিলেন তারা। এই দাবিতেই এই শাপলা চত্বরের কর্মসূচি দেয় সংগঠনটি। সেদিন দেশের কওমি ঘরানার কয়েক হাজার আলেম, ছাত্র ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।

শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম সারাদিন নানান ঘটনার পর রাতেও অবস্থান নেন তারা। পরে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি তাদের সরাতে অভিযানে নামে। রাত ৩টার দিকে চারদিক থেকে শুরু হওয়া মুহুর্মুহু গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেলে ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয় এলাকাজুড়ে। অভিযোগ রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীও হেফাজতের নেতাকর্মীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়।

ওই রাতের অভিযানে হেফাজতের অনেক কর্মী হতাহত হন। হেফাজতের খসড়া রিপোর্টে শাপলা চত্বরে গুলিতে ৯৩ শহীদের নাম প্রকাশ পেয়েছে। তালিকায় নিহতদের নাম-পরিচয়, পরিবারের সদস্যদের নামসহ প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়া রিপোর্ট যাচাই করে দেখা যায়, শহীদ হওয়া দুই তৃতীয়াংশই ছিলেন যুবক।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024