রবিবার, ১৫ Jun ২০২৫, ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ইরানের একাধিক শহরে ফের ইসরায়েলের হামলা আটকে পড়া ইরানি হাজিদের সব ধরনের সহায়তার নির্দেশ সৌদি বাদশাহর । ইসরায়েলে দেড় শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান তেহরানে আবাসিক ভবনে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৬০ ইসরায়েলের হামলায় ইরানের আরও তিন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত উত্তরায় র‌্যাব পরিচয়ে ‘নগদ’ এজেন্টের কাছ থেকে কোটি টাকা ছিনতাই মামলার চাপ কমাতে আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা গুরুত্বপূর্ণ: আইন উপদেষ্টা পুলিশের কাছে রাইফেল থাকলেও মারণাস্ত্র থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশা কেটে গেছে: জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট সরকার ও বিএনপির সমঝোতা রাজনৈতিক সংকট দূর করবে: ইসলামী আন্দোলন

মারা গেছেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর ৪ মাস।। রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।

সেখানে রোববার (৪ মে) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন সুপ্রিম কোর্টের আরেক সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির। ব্যা‌রিস্টার রাজ্জাকের দুই ছে‌লে ও এক মে‌য়ে। দুই ছেলেও ব্যারিস্টার এবং তারা সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত।

 

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। সর্বশেষ গত ২১ এপ্রিল অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ১১ বছর পর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন সুপ্রিম কোর্টের এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। ৬ জানুয়ারি তার জুনিয়র আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনে তাকে সংবর্ধনাও দিয়েছিলেন।

 

সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। এর আগে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের আইনজীবী ছিলেন।

যুক্তরাজ্যে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দল থেকে পদত্যাগ করেন। তখন দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির ডা. শফিকুর রহমান এক বার্তায় বলেছিলেন, তার পদত্যাগে আমরা ব্যথিত ও মর্মাহত। পদত্যাগ করা যে কোনো সদস্যের স্বীকৃত অধিকার। আমরা দোয়া করি তিনি যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আমরা আশা করি তার সঙ্গে আমাদের মহব্বতের সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।

 

এরপর তিনি নতুন দল আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রধান উপদেষ্টা হন। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর ১৭ আগস্ট সেই পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি।

২৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরে বিমানবন্দরে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি একজন আইনজীবী। আমি কোর্ট রুমে ব্যারিস্টার। আমি আইনের অঙ্গনে আমার অবদান রাখার চেষ্টা করবো। আইনের শাসন একটি অতি বড় জিনিস। দেশে যদি আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, তাহলে আমাদের রাজনীতি সফল হবে। অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। সুতরাং আইন অঙ্গনে আমার বিচারণ, আইন অঙ্গনে আমি থাকবো। আইন অঙ্গনের মাধ্যমে আমি দেশ এবং জাতির খেদমত করার চেষ্টা করবো।

ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে। বিএ (অনার্স) ও এম এ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮০ সা‌লে তি‌নি যুক্তরাজ্যের লিংকনস ইন থেকে ব্যা‌রিস্টার ডিগ্রি অর্জন ক‌রেন। ১৯৮৫ সা‌লের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি লন্ড‌নেই আইন পেশায় নিয়োজিত ছি‌লেন। দেশে ফিরে ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৪ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯০ সালে তিনি দ্য ল’ কাউন্সেল নামে একটি আইনি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী হন।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024