বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ নেই: জামায়াত আমির জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি মুহাম্মদ ইউনূসের মাধ্যমেই হতে হবে: সারজিস জুলাই সনদ ও গণভোট ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎ চায় ৮ দল ১৩ নভেম্বর বাকশালপন্থীরা রাস্তায় নামলে মোকাবিলা করা হবে : মামুনুল হক সম্মিলিত ছাত্র সংসদের বিবৃতিতে দেশব্যাপী চিরুনি অভিযান পরিচালনার দাবি শাবিপ্রবির মেয়েদের হলে পানির ফিল্টার দিল শিবির নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ: প্রেস সচিব ১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ ঘিরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ফ্যাসিবাদী গুম-খুন ও লুটপাট নিয়ে ঢাকার ১০ পয়েন্টে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী বুধবার

সোমবার ঢাবির ক্লাস ও পরীক্ষার কার্যক্রম স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও সাত কলেজের মধ্যকার উত্তেজনা শান্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে নিজেদের হলে ফিরে যাচ্ছেন। তবে এখনো কিছু শিক্ষার্থীকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান করতে দেখা যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশৃঙ্খল পরিবেশের মুখে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাবির ক্লাস ও পরীক্ষার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ঢাবির উপ-উপাচার্য ড. মামুন আহমেদ ঢাকা কলেজ একদল শিক্ষার্থীর সঙ্গে অসদাচরণ করেছেন, এমন অভিযোগে শিক্ষার্থীরা উপ-উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়ে ঢাবি অভিমুখে রওনা দেন। খবর পেয়ে ঢাবির একদল শিক্ষার্থী মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ সংলগ্ন এ এফ রহমান হলের সামনে লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান নেন। এরমধ্যে পুলিশ তোরণের একদিকের সড়কে ব্যারিকেড দেয়।

 

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা তোরণের বাইরে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। তারা অধ্যাপক মামুনকে তার অসদাচরণের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে এসে ক্ষমা চাইতে বলেন। এদিকে ঢাবির শিক্ষার্থীরা ১শ মিটারের মধ্যেই অবস্থান নেন। দুই পক্ষই পরস্পরকে ভুয়া স্লোগান দেন।

এ সময় সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, হাসিব আল ইসলাম, সহসমন্বয়ক মোবাশ্বিরুজ্জামান তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ঢাবির শিক্ষার্থীরা মানবপ্রাচীর ভেঙে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেন। ধাওয়ায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত পার হয়ে নিউমার্কেটের চার নাম্বার গেটের দিকে চলে যায়। পরে পুনরায় তারা ফিরে এসে ঢাবির শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেন। পুলিশ নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে।
 

এরপর বেশ কিছুক্ষণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া চলতে থাকে। একপক্ষ অপরপক্ষকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শুরুতে সাউন্ড গ্রেনেড এবং পরে টিয়ারশেল ছোড়ে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়। এদিকে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট এলাকায় পুলিশের সহায়তায় চার প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের মধ্যকার উত্তপ্ত পরিস্থিতির ফলে নীলক্ষেত মোড় ও সায়েন্সল্যাব মোড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে অনেক যানবাহনই মোড় ঘুরিয়ে বিকল্প পথে যাত্রা শুরু করে।

রাত ১২টার পর ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় নেমে আসেন। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন। এ সময় তারা পদযাত্রা করে নীলক্ষেত মোড়ে যেতে চাইলে সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, হাসিব আল ইসলাম, ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল নেতা সাকিব বিশ্বাসসহ একাধিক শিক্ষার্থী তাদের শান্ত রাখার চেষ্টা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের সহকারী প্রক্টর রফিকুল ইসলামসহ একাধিক শিক্ষক ও প্রক্টরিয়াল বডির একাধিক সদস্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।

এদিকে, আজ ২৭ জানুয়ারি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে। যেসব বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন, সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025