বৃহস্পতিবার, ১০ Jul ২০২৫, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন
ইমরান খানকে মুক্তি দিয়ে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান পিটিআইয়ের
কাশ্মীরের পহেলগামে সাম্প্রতিক বন্দুক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এমন সংকটময় মুহূর্তে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারের প্রতি ইমরান খানের মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) পাকিস্তানের সিনেটে এই আহ্বান জানান পিটিআইয়ের সিনেটর সৈয়দ আলী জাফর। তিনি বলেন, জাতীয় সংকটের সময় দেশের ঐক্য সবচেয়ে জরুরি। এই মুহূর্তে আমাদের সর্বদলীয় বৈঠকের প্রয়োজন ও সেই আলোচনায় ইমরান খানের উপস্থিতি অপরিহার্য।
পিটিআই নেতা আলী জাফর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক বক্তব্য ও কার্যকলাপের সমালোচনা করে বলেন, মানুষ মোদির নাটকের চিত্রনাট্য এখন বুঝে গেছে। ভারতের একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি বাতিলের চেষ্টা আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘনের শামিল। তিনি আরও বলেন, পহেলগামে ২৬ জন নিহতের ঘটনায় পাকিস্তানকে দোষারোপ করার চেষ্টা একটি ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চক্রান্ত।
পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভারতের এসব পদক্ষেপ স্পষ্টত পাকিস্তানকে ভাঙার দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্রের অংশ। তারা অভিযোগ করে, দিল্লি দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানবিরোধী বয়ান তৈরি করে যাচ্ছে।
সিনেটে বিরোধীদলীয় নেতা শিবলী ফারাজও জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, আমরা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক- দুই ফ্রন্টেই চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছি। আমাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু পাকিস্তানের নিরাপত্তার প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ।
আলী জাফর তার বক্তব্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি মোদী সরকার পাকিস্তানের এক ফোঁটা পানিও অন্যত্র সরায়, তবে আমরা তা শত্রুর আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করব ও উপযুক্ত জবাব দেব।
ইমরান খান বর্তমানে কারাবন্দি। বিশ্লেষকরা বলছেন, তার মুক্তির আহ্বান ও সর্বদলীয় সংলাপের প্রস্তাব পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে একজন নেপালি নাগরিকও ছিলেন। ভারত সরকার এই হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ বরাবরের মতোই এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে আসছে
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানে বর্তমানে রাজনৈতিক বিভক্তি গভীর। এই প্রেক্ষাপটে পিটিআইয়ের সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হতে পারে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবে কী সাড়া দেওয়া হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
সূত্র: ডন
