সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
বিদেশি হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি, বিরোধীদের তোপের মুখে মোদী কঙ্গোতে ভয়াবহ বন্যায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু চট্টগ্রামে ছিনতাইকারী চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার শিক্ষা ভবনের সামনে ফুটপাতে পড়ে ছিল বৃদ্ধের মরদেহ জুলাই বিপ্লবের খুনিদের শাস্তি দেখতে চায় জনগণ: জামায়াত আমির আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে আমরা আনন্দিত: ফখরুল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড-ব্যক্তি-সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান রেখে অধ্যাদেশ অনুমোদন যুদ্ধবিরতিকে ঐতিহাসিক বিজয় বললেন শাহবাজ শরিফ গণহত্যাকারীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে: উপদেষ্টা আসিফ

সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যায় এনসিপির উদ্বেগ

সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক লাগাতার বাংলাদেশি নাগরিক হত্যায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত সই করা এক বার্তায় এই উদ্বেগের কথা জানানো হয়।

 

এনসিপি জানায়, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, আন্তর্জাতিক আইন ও দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা সরাসরি ভঙ্গ করে অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সীমান্তে অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের যুবকদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে এবং এমনকি তাদের লাশের সাথেও চরম অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে।

বার্তায় বলা হয়, বুধবার দুপুরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় বিএসএফ হাসিবুল আলম (২৪) নামক একজন বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গুরুতর আহত ও মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে তুলে নিয়ে যায়। রাতে ভারতের কোচবিহারের একটি হাসপাতালে তিনি শাহাদাতবরণ করেন। গত ১১ এপ্রিল ঝিনাইদহের পলিয়ানপুর সীমান্তে ওয়াসিম হোসেন (৩৫) নামক এক বাংলাদেশি নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা করে বিএসএফ এবং অমানবিকতার চরম দৃষ্টান্তস্বরূপ ওয়াসিম হোসেনের লাশ নদীতে ফেলে দেয়।

 

বার্তায় এনসিপি জানায়, চলতি মাসেই অন্তত তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের হাতে শহীদ হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের গড়নকালে নানা সময়ে বাংলাদেশের তরুণরা সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সাংস্কতিক তৎপরতা জারি রেখেছে। কিন্তু বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্রনীতি এখন পর্যন্ত সীমান্তহত্যা বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

 

অন্তবর্তী সরকারসহ আগামীর সকল সরকারকে আহ্বান জানিয়ে বার্তায় এনসিপি বলে, রাষ্ট্রের তরফ থেকে সীমান্তবর্তী সকল জেলার নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। একই সঙ্গে ঢাকাকেন্দ্রিকতার বাইরে গিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকার নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কর্মসূচি হাতে নিন।

অভ্যুত্থানের সরকার হিসেবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সীমান্তহত্যার মতো এমন গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আদালতে উত্থাপন করার জোর দাবিও জানায় দলটি।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024