রবিবার, ২০ Jul ২০২৫, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
শনিবার ঢাকায় সমাবেশ- বিপুল সমাগমে দুর্ভোগের আশঙ্কায় জামায়াতের আগাম দুঃখ প্রকাশ ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে ‘ডেভিল রানি:সোহেল তাজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করলেন শারমিন আহমদ ও সোহেল তাজ জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল বেকারত্ব : আসিফ মাহমুদ গোপালগঞ্জে কারফিউ অব্যাহত থাকবে: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: তিন আসামির স্বীকারোক্তি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের দুঃসাহস দেখাবেন না : মীর হেলাল নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের দুঃসাহস মোকাবেলা করতে হবে: গোলাম পরওয়ার নির্বাচন নিয়ে তলে তলে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : রিজভী গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল ডেমোক্রেসির জন্য, চলছে মবোক্রেসি : সালাহউদ্দিন আহমদ

বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিনিয়োগকারীদের সব সুবিধা দেবে: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর জন্য বিডায় একটি একজন করে ক্যাপ্টেন নিয়োগ দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত হোটেল সারিনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অর্থনীতিতে যত ধরনের সংস্কার হয়েছে তার প্রায় সবই বিএনপির করা। আগামী দিনের যে অর্থনীতি হবে সেটা মাথায় রেখে আমরা একটা পরিকল্পনা আগেভাগেই করেছি। আমাদের ভিশন ২০৩০তে এটার প্রতিফলন ঘটেছে। ৩১ দফার সংস্কারের মধ্যেও তার প্রতিফলন ঘটেছে। সেটাকে মাথায় রেখে আমরা আমাদের দেশে আসা বিনিয়োগকারীদের বলছি আমরা কী কী পরিবর্তন আনবো। বিনিয়োগকারীরা যে বাধা-বিপত্তির মধ্যে পড়ে সেটা যাতে না পরে আগামী দিনে তার জন্য আমরা আমূল পরিবর্তন আনতে চাই। তার মধ্যে একটি সিরিয়াস ডিরেগুলেশন করবো। সিরিয়াস রিবালারাইজেশন করবো। আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একটি মুক্ত অবস্থায় নিয়ে যেতে চাই।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৮০ সালে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সুরক্ষার জন্য আইন করেছেন। লিবারেলাইজেশন যতই করেন দেখবেন এগুলো বাস্তবায়ন হয় না। এজন্য আমরা এখানে বাস্তবায়নের কথাও বলেছি। যেমন বিনিয়োগকারী আসার পর তার প্রজেক্টটা শুরু করার জন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় দপ্তর দপ্তরের লাইসেন্সিংয়ের বিষয় আছে, অনুমতির বিষয় আছে। আমরা এর জন্য বিডায় ইনভেস্টমেন্ট ক্যাপ্টেন বলে অনেকগুলো ক্যাপ্টেন করে দেবো। প্রত্যেকটা ইনভেস্টরের জন্য একজন ক্যাপ্টেন থাকবে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীকে কোনো অফিসে যেতে হবে না, কোনো মন্ত্রণালয়ে যেতে হবে না। ওই ক্যাপ্টেনকে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে; যেমন- লাইসেন্স এক সপ্তাহের মধ্যে, ভিসা অনুমতি এক সপ্তাহের মধ্যে, ইত্যাদি আমরা একটা সময় নির্ধারণ করে দেবো, যাতে করে বিনিয়োগকারীর কোথাও যেতে না হয়।

বিনিয়োগকারীদের অবস্থা তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা এখন রিলোকেট করার চেষ্টা করছেন। এজন্য তারা ভালো দেশ কোনটা সেটা খুঁজে বেড়াচ্ছে। সবাই রিক্যালিব্রেট করছে তাদের পলিসি। সেজন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। সেই প্রস্তুতি বিএনপি নিয়েছে আগামী দিনের জন্য। বিএনপি যখন ইপিজেড করেছে তখন এই সাবকন্টিনেন্টে এটা চিন্তাও করেনি। ঠিক একইভাবে আমাদের এই যে ভবিষ্যতের চিন্তা, আমরা সব দেশের চাইতে এগিয়ে থাকবো এই অঞ্চলে। আমরা মনে করি আমাদের যে প্রস্তাবনা এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আগামী দিনের বাংলাদেশে একটি নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। জাতীয় স্বার্থে আমাদের সবাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা আশা করি, আমরা যে নীতিমালা প্রস্তুত করেছি, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, তাজভীরুল ইসলাম, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য হুমায়ুন কবির, ড. মাহাদি আমিন ও বিএনপির আন্তর্জাতিক সহপরামর্শ কমিটির সদস্য ইসরাফিল চৌধুরী খসরু।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024