মঙ্গলবার, ০৮ Jul ২০২৫, ১১:৩৩ অপরাহ্ন
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে পৃথক দুই হামলায় চার শ্রমিক ও চার পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। শনিবার (২২ মার্চ) এসব হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রথম ঘটনায়, বেলুচিস্তানের কালাত জেলার মানগোচর শহরের মালাংজাই এলাকায় চারজন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। মানগোচর শহরের সহকারী কমিশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত শ্রমিকরা পাঞ্জাবের সাদিকাবাদ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।খবর পেয়ে লেভিস বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহগুলো উদ্ধার করে মান্দে হাজি গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠায়। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নিহতরা বোরওয়েল ড্রিলিংয়ের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বলেছেন, এই শোকের মুহূর্তে আমরা নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল না করা পর্যন্ত সরকার বিশ্রাম নেবে না।অন্যদিকে, নোশকি জেলায় পুলিশের টহল গাড়িতে সন্ত্রাসীদের হামলায় চারজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা পুলিশের গাড়িতে অতর্কিত গুলি চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী এই হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়ে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি বলেছেন, নিরীহ পুলিশ সদস্য ও শ্রমিকদের রক্ত বৃথা যাবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বেলুচিস্তানে সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে নোশকি-দালবানদিন মহাসড়কে আধাসামরিক বাহিনীর (ফ্রন্টিয়ার কর্পস) কনভয়ের ওপর আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলায় পাঁচজন নিহত হন, যাদের মধ্যে তিনজন এফসি সদস্য ছিলেন।এর আগে, ১১ মার্চ বোলান জেলায় বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) সংশ্লিষ্টরা একটি রেলপথে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনকে আক্রমণ করে এবং ৪৪০ জন যাত্রীকে জিম্মি করে। পরে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩৩ জন হামলাকারী নিহত হয় এবং যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। তবে হামলায় ট্রেনের ২৬ আরোহী নিহত হন, যাদের মধ্যে ১৮ জন ছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, তিনজন রেলওয়ে কর্মকর্তা এবং পাঁচজন সাধারণ নাগরিক।