সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৩১ অপরাহ্ন
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, ‘সব সমস্যার সমাধানে নির্বাচনের বুলি আওড়ানো দলের কিছু নেতাকর্মী ধর্ষণ-লুটতরাজ ঘটাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব-পরবর্তীসময়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে ওঠার কথা ছিল। ঐকমত্য গড়ে উঠলে ধর্ষণ, ছিনতাই, লুটেরাদের কোনো স্থান বাংলাদেশে হতো না। কিন্তু আমরা সেই জাতীয় ঐকমত্যের বিপরীতে গিয়ে যে কোনো ঘটনা ঘটলেই শুধু নির্বাচনই একমাত্র সমাধান বলে একটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের বুলি আওড়াতে দেখছি। যে রাজনৈতিক দল নির্বাচনের বুলি আওড়াচ্ছে; আমরা তো দেখতে পাচ্ছি সেই দলের কিছু কর্মীদের দ্বারা ধর্ষণ-লুটতরাজের ঘটনাগুলো ঘটছে।’রোববার (৯ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।বিএনপিকে হুঁশিয়ারি করে শিবির সেক্রেটারি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে, তাদের সভ্রমের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে যদি ঐকমত্য পোষণ করতে না পারেন, তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আপনাদের মাইনাস করা হবে। জনগণ আপনাদের সমর্থন দেবে না। তাই জনগণের পালস বোঝার চেষ্টা করুন।’নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ‘জনগণের নিরাপত্তার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে আসার চেষ্টা করতে হবে। আমরা তরুণসমাজ, আমরা ছাত্রসমাজ এ দৃশ্যই বাংলাদেশে দেখতে চাই। এ দেশে কোনো গুম-খুন, হত্যা-ধর্ষণের ঘটনা তরুণসমাজ দেখতে চায় না।’
ধর্ষণের সব ঘটনা আলোচনায় আসে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। তার কিছু মিডিয়ায় আসছে। অসংখ্য ঘটনা আড়ালে থেকে যাচ্ছে। মিডিয়ায় যেগুলো আসে, সেগুলোর হিসাব করেই আমাদের পিলে চমকে যায়। কিন্তু সব প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যে নীরবে-নিভৃতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, কত মেয়ের বোবাকান্না, চোখের পানিতে জমিন সিক্ত হচ্ছে, তার কোনো হদিস আমাদের জানা নেই।’
শিবির সেক্রেটারি বলেন, ‘শুধু আইন শক্তিশালী করাই একমাত্র সমাধান নয়। যে অশ্লীল কালচার; দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ফ্রি-সেক্স, লিভ টুগেদারের প্রথা এ সমাজব্যবস্থাকে বিষিয়ে তুলেছে। অক্টোপাসের মতো চারদিকে যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, তারই এক প্রতিচ্ছবি এ লজ্জিত বাংলাদেশ, ধর্ষণের বাংলাদেশ। আমরা লজ্জিত। এ দেশের কালচারাল সিস্টেমকে নতুনভাবে চিন্তা করতে হবে।’মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আনিসুর রহমান প্রমুখ।