বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:১০ পূর্বাহ্ন
স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে এই নদী খননে দুই দফায় খরচ করা হয় ১২০০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, দুই দশক আগেও মাদারীপুর থেকে খুলনা যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন ছিল এই কুমার নদী। মাদারীপুরের সাথে নৌপথে খুলনা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুরের যোগাযোগ ছিল। তখন এই নদীর যেমন ছিলো রুপ যৌবন আর তেমনই ছিলো গভীরতা।
খুলনা থেকে মাদারীপুরের চরমুগুরিয়া উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসতো বড় বড় ষ্টীমার।
স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে কুমার নদী খনন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সরকারের পক্ষ থেকে দুই কিস্তিতে ১২০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, রাজৈর উপজেলা টেকেরহাট এলাকার কুমার নদের জমি দখল করে অনেকেই স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। দখল আর দুষনের অস্তিত্বহীন কুমার নদী। সরু খালের মত বয়ে চলছে। নেই পানির ¯্রােত। কোথাও কোথাও নদীর মাঝেই সবুজ ফসলের ক্ষেত। প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। দূষণ আর অবৈধ দখলের কারণে নদটির এখন আর আগের রূপ নেই। নদের বেশকিছু অংশ এতটাই দূষিত হয়েছে যে, দুর্গন্ধে পশু-পাখিরাও এর পানি পান করতে পারে না।
স্থানীয় বাসিন্দা মোকসেদ শেখ জানান, এই নদের পানি আগে সব কাজে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এখন ময়লা-আবর্জনায় দূষিত হওয়ায় পানি ব্যবহার করা যায় না। নদীতে এখন গোসল করা তো দূরের কথা, পানির দুর্গন্ধের কারণে কাছেই যাওয়া যায় না।
আরেক বাসিন্দা মিনহাজ হাওলাদার বলেন, পরিবেশ রক্ষায় কুমার নদের দূষণরোধে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কয়েক বছর আগে এই নদী খননের জন্য ১২০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়। অথচ এখন এই নদীর অস্তিত্ব নেই।
মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সানাউল কাদের চৌধুরী জানান, নদী খননের জন্য ডিপিপি প্রনয়ন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনেক আগে বিআইডব্লিউটিএ এর মাধ্যমে নদী খনন করা হয়েছিল। অবৈধ দখল উচ্ছেদেও কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।