Editor Panel
- ২ নভেম্বর, ২০২৫ / ৫ Time View
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও মানবিক সংকট কমছে না। বরং ইসরায়েল চুক্তি রক্ষা না করায় সংকট ভয়াবহভাবে বাড়ছে। একদিকে নানা অজুহাতে হামলা করছে, অন্যদিকে ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে দিচ্ছে না দেশটি।
শনিবার এক বিবৃতিতে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ১০ থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ৩ হাজার ২০৩টি বাণিজ্যিক ও ত্রাণ ট্রাক গাজায় সরবরাহ পৌঁছাতে পেরেছে।
অর্থাৎ, প্রতিদিন গড়ে ১৪৫টি ট্রাক প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। যা যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে নির্ধারিত দৈনিক ৬০০ ট্রাকের মাত্র ২৪ শতাংশ।দুই বছর সামরিক হামলায় ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ও আশপাশের এলাকা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় অনেক পরিবার মাথা গোঁজার জায়গাও হারিয়েছে। সমগ্র গাজা খাদ্য, পানি, ওষুধ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহের ঘাটতির মুখে পড়েছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, বিমান হামলা ও ইসরায়েলি ড্রোনের কারণে হলুদ রেখার কাছাকাছি কিছুস্থানে পৌঁছাতে তাদের সমস্যা হচ্ছে।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম অভিযোগ করেছে, পরিকল্পিতভাবেই ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ত্রাণ ও বাণিজ্যিক পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে বাধা দিচ্ছে। এর ফলে ২৪ লাখেরও বেশি মানুষের মানবিক সংকট ভয়াবহভাবে বেড়েছে।
জাতিসংঘ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের নির্দেশিত রুট পরিবর্তনের কারণে সাহায্য সংগ্রহ কমেছে, ত্রাণ পৌঁছানো বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
আরও মানবিক সহায়তা পরিবহনে অতিরিক্ত ক্রসিং ও অভ্যন্তরীণ রুট প্রয়োজন।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫৯৪ জন।
এদিকে, নিহত ইসরায়েলি বন্দীদের মরদেহ ফেরত না দিয়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে ইসরায়েল। তবে হামাস বলছে, গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পাশাপাশি অনুসন্ধানে সহায়তা করার জন্য ভারী যন্ত্রপাতি ও বুলডোজারের প্রবেশেও ওপর ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
যে কারণে উদ্ধার প্রচেষ্টা কঠিন হয়ে পড়েছে।সূত্র: আল-জাজিরা