রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
জামায়াতকে নিয়ে আলালের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা চুপ্পুর কাছ থেকে জুলাই সার্টিফিকেট নেয়ার চেয়ে বিষ খেয়ে মরে যাওয়া ভালো: হাসনাত বিএনপির এক গডফাদারের চাঁদার টাকাতেই গণভোট সম্ভব: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে রাখা অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৮ চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল ইজারা বাতিলের দাবিতে গণ-অনশন সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে: ডা. আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের নির্বাচন কমিশন ভাগাভাগি হয়ে গেছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ জুলাই সনদ জনগণের নয়, উপদেষ্টাদের ভবিষ্যৎ সুবিধার জন্য: হাফিজ ভোলায় বিএনপি-বিজেপি দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩০ আ.লীগ ইসলাম বিদ্বেষী রাজনীতি করেছে : সালাহউদ্দিন

নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে রাখা অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৮

নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চল থেকে ১১টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সংস্থাটি জানায়, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে এসব অস্ত্র সংগ্রহ করেছিল তারা।

গ্রেফতাররা হলেন— শফিক মিয়া (৩২), মোস্তফা (৩৮), আয়নাল (৩৮), মহিউদ্দিন হৃদয় (২২), বাচ্চু মিয়া (৬২), কালু মিয়া (৬৯), বাছেদ (৪০) ও এক কিশোর।

শনিবার (১ নভেম্বর) কারওয়ান বাজারের র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এসব অস্ত্র পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে সীমান্ত পার হয়ে নদীপথে আনা হতো। এছাড়া কক্সবাজারের মহেশখালীর পাহাড়ি এলাকার কিছু কারিগরের কাছ থেকেও তারা অস্ত্র সংগ্রহ করতো। কখনো কখনো ওই কারিগরদের এনে নিজেরাই অস্ত্র তৈরি করতো বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।

নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে প্রায়শই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো হলো:

র‍্যাবের তথ্যানুযায়ী, গত ২২ এপ্রিল সদর উপজেলার চরাঞ্চলে সংঘর্ষে একজন নিহত, ২০ জুলাই রায়পুরার চরাঞ্চলে সংঘর্ষে একজন নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান, ৯ সেপ্টেম্বর রায়পুরায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং একজন আহত হন, ২৮ সেপ্টেম্বর চরাঞ্চলে সংঘর্ষে গুলিতে একজন নিহত হন। চলতি বছরে এ ধরনের সংঘর্ষে নিয়মিত আহত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।

এসব সংঘর্ষের পেছনে আধিপত্য বিস্তার, বালুমহল, চর, ঘাট, বাজার দখলকে ঘিরে এলাকাভিত্তিক গ্রুপগুলো রয়েছে বলেও জানায় র‍্যাব।

এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতভর অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান র‍্যাব-১১ অধিনায়ক। অভিযানে দুটি বিদেশি পিস্তল, ৫টি একনলা বন্দুক, একটি দুইনলা বন্দুক, দুটি এলজি, একটি পাইপগান, তিনটি ম্যাগাজিন ও ৩৫ রাউন্ড গুলি।

র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক বলেন, অভিযানের সময় তারা আমাদের ওপরেও হামলা করার চেষ্টা করেছে, ককটেল বিস্ফোরণসহ শটগানের গুলি। তবে সেফলি আমরা অভিযান শেষ করতে পেরেছি। এক প্রশ্নের জবাবে র‍্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, যে অপরাধ করে, সে কোন দলের আমাদের দেখার বিষয় না।

অস্ত্র যদি দুস্কৃতিকারীর কাছে থাকে বিভিন্ন অরাজকতা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করতেই পারে। এরমধ্যে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বলেন, রাজনৈতিক প্রভাব বলেন। এজন্য আমরা যেটা করছি অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছি, অভিযান চলমান রয়েছে।

অস্ত্রগুলো কার মাধ্যমে তাদের হাতে আসছে জানতে চাইলে র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক বলেন, যারা ব্যবহার করে থাকে, তাদের বিভিন্ন গ্রুপ আছে এলাকাভিত্তিক। তারা বলেছে আবার বর্ডারকেন্দ্রিক কিছু গ্রুপ থাকে, আমরা তথ্য কালেকশন করছি।

তিনি আরও বলেন, নৌপথটা একটু আনসিকিউরড থাকে। অস্ত্রগুলো নিয়ে আসতে তারা নৌ পথটাকে ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু অভিযান চলমান আছে, চলমানের কারণেই কিন্তু অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025