রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০২ পূর্বাহ্ন
সকাল-সন্ধ্যা : তা ছাড়া মহান আল্লাহ সকাল-সন্ধ্যাকেও ইবাদতের গুরুত্বপূর্ণ সময় হিসেবে তৈরি করেছেন।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, আবু মুসা (রা.) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের সামনে পাঁচটি কথা বললেন, আল্লাহ কখনো নিদ্রা যান না। নিদ্রিত হওয়া তাঁর সাজেও না। তিনি তাঁর ইচ্ছানুসারে তুলাদণ্ড নামান এবং উত্তোলন করেন। দিনের আগেই রাতের সব আমল তাঁর কাছে উত্থিত করা হয় এবং রাতের আগেই দিনের সব আমল তাঁর কাছে উত্থিত করা হয়। এবং তাঁর পর্দা হলো নূর (বা জ্যোতি)। (মুসলিম, হাদিস : ২৯৩)
সিজদার সময় : মুমিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি সময় হলো সিজদা। রাসুল (সা.) বলেছেন, সিজদারত বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী। সুতরাং সে সময় বেশি বেশি দোয়া করো। (মুসলিম, হাদিস : ৪৮২)
আজানের সময় : আজানের সময়ও মুমিনের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন মুয়াজ্জিন আজান দেয়, আসমানের দুয়ার খুলে যায় ও দোয়া কবুল হয়। (মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদিস : ১৮৮৪)
আজান-ইকামতের মধ্যবর্তী সময় : আজানের পর থেকে নিয়ে ইকামতের মধ্যবর্তী সময়টিও গুরুত্বের দিক থেকে কম নয়। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময় দোয়া কবুল হয়। সুতরাং তোমরা দোয়া করো। (মেশকাত, হাদিস : ৬৭১)
এ ছাড়া ইকামত, সৈন্য সমাবেশ ও বৃষ্টির সময় আল্লাহ মানুষের দোয়া কবুল করেন। তাই এই মুহূর্তগুলোকেও অধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা দোয়া কবুলের সুযোগ সন্ধান করো সৈন্য সমাবেশ, নামাজের ইকামত ও বৃষ্টি বর্ষণের সময়। (বায়হাকি)
জুমার দিন : জুমার দিন বেলা ডোবার পূর্ব মুহূর্তটিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিনের ১২টি মুহূর্ত। তার একটি মুহূর্ত এমন, যখন কোনো মুসলিম কিছু চাইলে আল্লাহ তা তাকে দান করেন। তোমরা আসরের পরের শেষ মুহূর্তে তা অনুসন্ধান করো। (বুখারি, হাদিস : ৬০৩৭)
এ ছাড়া ইফতারের সময়, লাইলাতুল কদরের রাতে, আরাফার ময়দানে অবস্থানের সময় এবং কাবা ঘরের সামনে অবস্থানের সময়টুকু বান্দার জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ।